সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
একটা সময় অনুন্নয়নের গ্রাস করেছিল সুন্দরবন লাগোয়া প্রত্যন্ত গ্রাম সেহালামপুর।অভাব অনটন পিছিয়ে রেখেছিল গ্রামের প্রবীন নবীনদের।অমঙ্গলের ছায়া প্রতীকী হয়েছিল গ্রামবাসীদের উপর । মঙ্গল কামনায় উমা বরন করতে শুরু করেন এলাকাবাসি।তারপর থেকে শুরু হয় মঙ্গলময় গ্রাম।গ্রামে আজও রয়েছে পূর্বপুরুষের শিব মন্দির।হিন্দুদের তেত্রিশ কোটি দেবতাদের আরাধনার মধ্যে ধুমধাম করে চলে এই গ্রামে উমার আরাধনা।প্রতি বছর গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষ বিশ্বাস ভক্তিতে উমার আরাধনায় মেতে থাকেন।
সুন্দরবনের সেহালামপুর গ্রামে বর্তমান ১৫০০ মানুষের বাস।অধিকাংশ মানুষই কৃষিজীবি।বছরের প্রতিদিন সামান্য আয়ে সংসার খরচ বাঁচিয়ে দূর্গা পূজার জন্য সঞ্চয় করে রাখেন।সমারহ হয়ে ওঠে গ্রামের প্রবীন নবীনদের মধ্যে। কলকাতা হোক কিংবা অন্যকোন গ্রামের মতো থিম হিরিকের রমরমা নেই।তবু গ্রাম আর সংসারের মঙ্গল কামনায় দুরদুরান্তে থেকে ছুটে আসেন দুর্গা দর্শনে।১৯৭৫ সালে শুরু হয় সেহালামপুরের দুর্গাপূজা।৪৪ বছরে এবারে পরল সেহালামপুরের গ্রাম্য পূজো।গ্রামের ছেলে মেয়ে গৃহস্থের বাড়ির সদস্যরা দুই মাস ধরে তৈরী হয় এবারের হোগলা পাতার মন্ডপ । হারানো শিল্প ফিরিয়ে আনতে এবারের উদ্দেশ্য।গ্রামের ছেলে শোভন মন্ডলের হাতে নির্মিত হয়েছে হোগলা। এক কাঠামো প্রতিমা তৈরী হয়েছে গ্রামেরই ছেলে অভিজিৎ মন্ডল হাতে।সবকিছুই পরিকল্পনা করেন দূর্গাপূজার উদ্যোক্তা ওরফে গ্রাম সদস্য সুরজিৎ বারুই।পঞ্চমী থেকে দশমী প্রতিবছরের মতো এবছরও চলবে নানান সাংস্কৃতিক মূলক অনুষ্ঠান।গ্রাম চাঁদায় বস্ত্র বিতরন অনুষ্ঠান। এছাড়াও রয়েছে ভোগ বিতরনের মতন কর্মসূচি।ডায়মন্ড হারবার দুনম্বর ব্লকের রঘুনাথপুর,হরিদাসপুর পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষ আসেন সেহালামপুর গ্রামে ঠাকুর দেখতে। সদস্য ওরফে উদ্যোক্তা সুরজিৎ বারুই বলেন প্রবীনদের সঙ্গে নিয়ে নবীনরা এগিয়েছি এই গ্রামের পূজা। কালীপূজা,লক্ষ্মীপূজা হলেও।সবচেয়ে আনন্দময় হয়ে ওঠে দুর্গাপুজো।জাতি ভেদাভেদ ভুলে শান্তি সম্প্রতি নিয়ে মেতে ওঠেন আট থেকে আশি সবাই।গ্রামবাসী আইনজীবি সন্দিপন বারুই আজও বিশ্বাস করেন উমা মায়ের জন্য কেটেছে অমঙ্গল।তাই মঙ্গল করতে আজও পালিত হচ্ছে সেহালামপুরের দুর্গা আরাধনা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584