শাক্তমতে তান্ত্রিক লোকাচারে পুজিত হন খাঁপুরের সিংহবাহিনী দেবী

0
233

শিবশংকর চ্যাটার্জ্জী,দক্ষিন দিনাজপুরঃ

শারদীয়ায় দেবী দুর্গা ও বাসন্তীপুজোয় দেবী বাসন্তী রুপে পুজিতা হন বহু সারে সাতশো বছরেরও অধিক পুরোনো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের খাঁপুরের সিংহ বাহিনী দেবী।জানা যায় দিনাজপুরের কোন এক রাজা যার নাম ছিলো রাজা বৈদ্যনাথ তিনি এই দেবীর পুজো শুরু করেন।দেবীর জন্য তৈরী করেন সুদৃশ্য টেরাকোটার মন্দির।

durga puja of singhobahini devi | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

যা কালের নিয়মে ধংস স্তুপে পরিনত হয়েছে৷এই টেরাকোটা মন্দিরটিই একমাত্র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হেরিটেজ তকমা পাওয়া মন্দির।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা তথা দিনাজপুরের সেই রাজার বংশধরেরা জানিয়েছেন টেরাকোটার মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাদের পুর্বপুরুষ নতুন মন্দিরটি নির্মান করেন।সেটির ও বয়স একশো দেরশো বছর হয়ে গেছে।

নিজস্ব চিত্র

দিনাজপুরের জমিদারের বর্তমান বংশধর উদয় সিংহ রায় ২০০১ সালে বর্তমান মন্দিরের সংস্কার করেছেন।এখানে দেবী অষ্টধাতু দিয়ে তৈরী তিনি পঞ্চমুন্ডের আসনে বিরাজমান।উদয় সিংহ রায়ের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন অতীতে দূর্গা পুজোতেই দেবীর বার্ষিক পুজোটি হলেও ১৯৯৫ সালে দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রবল বন্যার কারনে দেবীর বার্ষিক পুজো বাসন্তী পুজোতে স্থানান্তরিত করা হয়।

নিজস্ব চিত্র

আরও পড়ুনঃ আতাহার খানের বুড়িমা দুর্গাপুজোর ইতিহাস

সেই থেকে দেবী বছরে দুই বার পুজিতা হন।দুর্গা পুজোয় দেবীকে নিষ্ঠা ভরে পুজো করা হলেও।বাসন্তী পুজোতেই দেবীর জাঁকজমকপূর্ণ পুজা অনুষ্ঠিত হয়।এই পুজো শাক্তমতে তান্ত্রিক লোকাচারে করা হয়ে থাকে।তাই অতীতে পশুবলির প্রচলন থাকলেও বর্তমানে দেবীর উদ্দেশ্যে কুমড়ো বলি দেওয়া হয়।

এছাড়াও সারা বছর দেবীর নিত্য পুজা চলে শনি ও মঙ্গলবার দুরদুরান্ত থেকে ভক্তরা দেবীকে পুজো দিতে আসেন।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সংস্কৃতির অংশ হয়ে যাওয়া এই সিংহবাহিনী দেবীর পুজো ঘিরে রয়েছে অনেক জনশ্রুতি।দিনাজপুরের রাজার বর্তমান বংশধর উদয় সিংহ রায় ও তার আত্মীয় স্বজনরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পুরোনো ঐতিহ্য মেনে মায়ের পুজো করছেন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here