মহামারি ভ্রুকুটি থাকলেও পুজো হবে! ব্যস্ততা বেড়েছে তেরোপেখ্যাতে

0
80

নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ

মহামারি পরিস্থিতে দুর্গাপুজোর ভবিষ্যৎ কী তা নিয়ে কপালে ভাঁজ ফেলেছিল আম জনতার। দুর্গাপুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব, শুধু তাই নয় এই উৎসব ঘিরে থাকে মানুষের রুজি- রোজগার। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পুজোর ছাড় দেওয়ার পর যেন স্বস্তি মিলছে এই মানুষগুলির।

women | newsfront.co
শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি ৷ নিজস্ব চিত্র

রাতারাতি যেন কর্মোদ্যোগ বেড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের চক্রবর্তী পরিবারে।পুজোর সময় কুটির শিল্পের মাধ্যমে যা আয় হয় ,তা দিয়েই চলে সারাবছর। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক মাসের লকডাউনের ফলে এবছর দুর্গাপুজোয় একাধিক কাঁটছাট করেছে পুজো উদ্যোক্তারা। তাই প্রথম থেকে সেভাবে অর্ডার আসেনি শিল্পীর কাছে।

working | newsfront.co
ব্যস্ততা ৷ নিজস্ব চিত্র

তবে সরকারি ছাড়পত্রের পর ইতিমধ্যে অর্ডার আসতে শুরু করেছে শিল্পীদের কাছে। দুর্গাপুজোর মন্ডপের বিভিন্ন সাজসজ্জা, গ্রাম বাংলার কুটির শিল্পীদের হাত ধরেই উঠে আসে। জুটের তৈরি নানা রকম কারুকার্যে চোখ ধাঁধিয়ে ওঠে মন্ডপের।

woman | newsfront.co
কৃষ্ণা চক্রবর্তী, শিল্পী ৷ নিজস্ব চিত্র

এছাড়াও জুটের তৈরি নানা ধরণের উপহার সামগ্রী পুজোর সময় বেশ বিক্রিও হয়। যার জন্য পুজোর প্রায় পাঁচ- ছয় মাস আগে থেকেই চলে শিল্পীদের প্রস্তুতি। শিল্পী পাড়ায় লেগে যায় কাজের ধুম। নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে শিল্প তৈরিতে ব্যস্ত থাকতেন শিল্পীরা।

man | newsfront.co
সমীর চক্রবর্তী ৷ নিজস্ব চিত্র

মহিষাদলের তেরোপেখ্যা গ্রামের প্রায় আট থেকে দশটি পরিবার কুটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। প্রবীণ শিল্পী কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “অন্যান্য বছরে রাতদিন এক করে আমরা কাজ করতাম। বাড়ির সদস্যদের পাশাপাশি বাইরের লোকজনও এই কাজ করতো। কিন্তু এবছর সেভাবে অর্ডার না আসায় কাজ প্রায় বন্ধ ছিল।“

আরও পড়ুনঃ বহরমপুরে তৃণমূলের গান্ধী জয়ন্তী উদযাপন

শিল্পী সমীর চক্রবর্তী বলেন, “প্রথমে সেভাবে পুজোর জন্য অর্ডার আসেনি। ফলে কাজকর্ম ঢিমেতালে চলছিল। সংসার চালাবো কিভাবে সে নিয়েও চিন্তা হচ্ছিল। তবে এখন আবার অর্ডার আসতে শুরু করেছে।“

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here