চালু ই-পাস ভিত্তিক ট্যাক্সি, বাস-অটো শ্রমিকেরা এখনও সেই তিমিরেই

0
39

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

রবিবার থেকে জরুরি পরিষেবার জন্য ট্যাক্সি চালানোর অনুমতি দিল পুলিশ। নিজেদের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ১০৭৩ নম্বরটি বলে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই নম্বরে পরিচয়, গন্তব্য জানিয়ে ই-পাস নিয়ে ন্যূনতম ৩ জন একটি ট্যাক্সিতে যেতে পারবেন। কিন্তু বাস বা অটোর সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকেরা রয়ে গিয়েছেন সেই তিমিরেই।

Taxi | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

গাড়ি সম্পূর্ণ বসে যাওয়ায় রোজগার পুরোপুরি বন্ধ। মালিক বা বাস সংগঠনের প্রতিনিধিরা কিছুটা সাহায্য করলেও তা দিয়ে যে পেটের খিদে মেটানো সম্ভব নয় তা বুঝেছে দু’পক্ষই। তাই সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্যকর্মীরা পরীক্ষার জন্য বাড়িতে গেলে সহযোগিতা করুন, আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর

প্রসঙ্গত, কলকাতার গণপরিবহণের বেশিরভাগ অংশই বেসরকারি বাস এবং অটোর ওপরে নির্ভরশীল। ভাড়া সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় যাতায়াতও করেন প্রচুর মানুষ। জরুরি পরিষেবার জন্য অল্প কিছু বাস চালু হলেও বেশিরভাগ বাসই লকডাউনে স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে। কলকাতার গলি-ঘুপচির রাস্তায় মানুষকে পৌঁছে দেওয়া অটোর অবস্থা তথৈবচ। কিছু অটো খাবার বা ত্রাণের জন্য পরিষেবা দিয়ে অল্প কিছু পেলেও বেশিরভাগই স্ট্যান্ড থেকে বেরোতে পারছে না।

তবে এটা শুধু কলকাতা শহর বলে নয়, একই ছবি ধরা পড়ছে গোটা রাজ্যেই। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের কলকাতা শহরেই বাসের সাথে যুক্ত আছে কয়েক হাজার শ্রমিক। তাদের পরিবার ধরলে লাখ খানেক মানুষের পেট চলে এই পেশার মাধ্যমে। তারা বারবার ফোন করছেন। আমরা যতটা পেরেছি, ফান্ড থেকে টাকা দিয়েছি। কিন্তু আর চালানো সম্ভব হচ্ছে না।”

তিনি জানান, পাটুলি, ঢাকুরিয়া, বালিগঞ্জ, যাদবপুর সহ একাধিক জায়গায় সংগঠন টাকা পাঠিয়েছে। কোথাও আবার চাল, ডাল, তেল পাঠিয়েছে। কিন্তু কলকাতার বাজারে গণপরিবহণের সঙ্গে যুক্ত বেশিরভাগ শ্রমিকই দিন আনি-দিন খাই অবস্থা অনেক মালিক আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে, তাতে কর্মীরা পেটের টানে বাসের ব্যাটারি সহ যন্ত্রাংশ না বিক্রি করে দেবেন। প্রশাসনের তরফে অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ দিকে মোড় নিতে পারে।

একই পরিস্থিতি কলকাতার অটো বা জেলার টোটোগুলির ক্ষেত্রেও। আচমকাই রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংসারসামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরাও। অনেকে গাড়ি ভাড়া নিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিন প্রতি ভাড়া দেন। রোজগারহীন বাজারে সেই টাকা এখন ঘর থেকেই বেরিয়ে যাচ্ছে তাঁদের।

কলকাতার থেকেও খারাপ অবস্থা জেলাগুলিতে। আন্তঃরাজ্য বাস সংগঠনের নেতা রাহুল চ্যাটার্জি বলেন, আচমকা জনতা কারফিউ আর তার পরের দিন থেকেই লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকরা অনেকেই জেলায় বাড়ি পর্যন্ত ফিরতে পারেননি। কোনওরকম ভাবে স্ট্যান্ডের বাসেই দিন কাটছে তাদের।”

তাই এই পরিস্থিতিতে সকলেই চাইছেন রাজ্য সরকার কোনও একটা উপায় বাতলে দিক। যাতে গণ পরিবহণের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের মুখে দু’বেলা খাবার পৌছে দিতে পারা যায়। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের সদর্থক পদক্ষেপের দিকে তাকিয়েই রাজ্যের গণপরিবহনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here