শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
বড়বাজারে ফের ভেজাল মশলার কারখানার হদিশ পেল কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসাররা (ইবি) মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই মশলার কারখানায় হানা দেয়। ওই মশলা তৈরি কারখানার মালিক নওয়াল কিশোর প্রমাণ সমেত হাতেনাতে ধরা পড়েন। সেই সঙ্গে পুলিশ প্রচুর ভেজাল মশলাও বাজেয়াপ্ত করেছে ওই কারখানা থেকে।

সূত্রের খবর, বহুদিন ধরেই স্ট্র্যান্ড রোড সংলগ্ন জোড়াবাগানের ৯ নম্বর গলির ভেতরের ওই কারাখানার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছিল ভেজাল মশলা তৈরি করার। গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পর থেকেই বেশ কিছুদিন ধরে ওই কারখানার মালিকের গতিবিধি এবং কারখানার ভেতরের কর্মকাণ্ডের উপর গোপন নজর রাখছিল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। এরপরই মঙ্গলবার ইবির অফিসাররা ক্রেতার ছদ্মবেশে ওই কারখানায় হানা দিয়ে মালিককে গ্রেফতার করেন।
আরও পড়ুনঃ সাত সকালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় যুবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য
ইবি সূত্রের খবর, ওই কারখানায় লঙ্কা, হলুদ এবং জিরে গুড়োর মশলার ভেতরে ধানের তুষ এবং রং মিশিয়ে তা তৈরি করা হত। এই রঙ শরীরের পক্ষে ভীষণই ক্ষতিকর বলে মত দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই মশলার দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের ফলে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগও হতে পারে। ইবির তরফে এই মশলা কতটা ক্ষতিকারক এবং এতে কী ধরণের ক্ষতিকারক জিনিস ব্যবহৃত হত তা দেখার জন্য মসলার নমুনা ফুড ল্যাবে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইবির ডিসি বিশ্বজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, তারা ওই কারখানা থেকে মোট ২১ বস্তা ভেজাল লঙ্কার গুঁড়ো, তিন বস্তা হলুদ গুঁড়ো এবং একাধিক বস্তা ধানের তুষ ও রঙ মেশানো মশলা বাজেয়াপ্ত করেছেন। সেই সঙ্গে তারা মসলার বস্তা সেলাইয়ের একটি মেশিনও বাজেয়াপ্ত করেছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584