শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
লকডাউনের সময়ে বহুদিন চুপচাপ থাকার পর ফের নারদাকাণ্ডে ফের নড়েচড়ে বসল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সূত্রের খবর, এই কাণ্ডে তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ ৯ জন নেতা-মন্ত্রী ১১ জনকে তলব করা হয়েছে।
যে সমস্ত তৃণমূল নেতাদের নাম এই নোটিশে রয়েছে, তারা হলেন, তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সাংসদ সৌগত রায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র, মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, বিধায়ক ইকবাল আহমেদ।
এছাড়া বর্তমানে বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং আইপিএস এসএমএইচ মির্জাকে এই নোটিশে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তবে উল্লেখ্য, নারদাকাণ্ডে যুক্ত থাকলেও এই নোটিশে নাম নেই কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। জানা গিয়েছে, নারদ স্টিং অপারেশনে যাদের দেখা গিয়েছে তাদের ৭ বছরের আয়-ব্যয় ও সম্পত্তির হিসেব চেয়েছে ইডি।
আরও পড়ুনঃ তিন বছরের বদলে এবার থেকে এমসিএ কোর্স হবে ২ বছরে
২০১৬ সালে নারদ স্টিং অপারেশন সম্প্রচারিত হয়। তা নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। এই অপারেশনে তৃণমূল কংগ্রেসর ১৩ জন প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রী ও একজন আইপিএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। যদিও পরবর্তীতে মুকুল রায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেয়। বাকিরা এখনও তৃণমূল কংগ্রেসেই রয়েছেন। তার মধ্যে সুলতান আহমেদের মৃত্যু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস বরাবরই দাবি করে এসেছে প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকেই ইডি ও সিবিআইকে ব্যবহার করছে বিজেপি। তাই একাধিকবার দলের নেতাদের তলব করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনের জেরে কলকাতায় প্রথম বন্ধ হল পাঁচতারা হোটেল
তবে ইডির গোয়েন্দাদের দাবি, শোভন চট্টোপাধ্যায় আগেভাগেই ৭ বছরের আয়-ব্যয় ও সম্পত্তির হিসেব ইডির কাছে জমা দিয়েছেন। তাই এবারে তলবের তালিকায় তাঁর নাম নেই। চলতি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে বাকিদের এই হিসেব জমা দেওয়ার কথা বলেছে ইডি। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত সিবিআই গ্রেফতার করেছে এসএমএইচ মির্জাকে। এছাড়া এই মামলায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখেই এই মামলায় তৃণমূলকে পরিকল্পিত ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে শাসক শিবিরের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584