শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি যে তাদের বিধায়ক সাংসদদের নোটিশ পাঠাবে এমন আশা আগে থেকেই করে রেখেছিল তৃণমূল। কিন্তু আচমকাই খোদ বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে তলবের নির্দেশে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
মুকুল রায়, ফাইল চিত্র যদিও একাংশের দাবি, নিজেদের দলের নেতাকে ডেকে তদন্ত স্বচ্ছ প্রমাণ করে এরপরে অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের ডাকা হতে পারে। তবে আপাতত নারদ কাণ্ডে ৭ দিনের মধ্যে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট সহ মুকুল রায়কে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।
আরও পড়ুনঃ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের যুবযোদ্ধাদের পথনির্দেশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপিতে ক্রমেই কোনঠাসা হয়ে উঠেছেন মুকুল। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর সংঘাতও নতুন নয়। তিনি বরাবর কেন্দ্রীয় স্তরের কাজ করতে চাইলেও বিজেপি তাকে সেভাবে গুরুত্ব দিতে রাজি হয়নি। ফলের দিলীপ সায়ন্তন বাবুল সুপ্রিয়র আড়ালেই রয়ে গিয়েছেন মুকুল। সম্প্রতি আবার ফের তৃণমূলে মুকুলের ফিরে যাওয়ার জল্পনা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কোভিডের সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতির স্বচ্ছ তদন্তে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি রাজ্যপালের
যদিও মুকুল তা খারিজ করে জানিয়েছেন, তার সঙ্গে কারোর সংঘাত নেই। তিনি বিজেপিতেই আছেন। তবে গত জুলাই মাসে নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত সব রাজনৈতিক নেতাকেই ইডি নোটিশ পাঠালেও সেই তালিকা থেকে কেবল বাদ ছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমানে বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। মুকুল রায়কে কিন্তু তখনও নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। খোদ দলের মধ্যেই দ্বিচারিতায় ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুকুল রায়।
যদিও ইডি সূত্রের খবর, শোভন চট্টোপাধ্যায় আগেই তাঁর বিগত ৭ বছরের আয়-ব্যয় ও সম্পত্তির হিসাব ইডির কাছে জমা দিয়েছিলেন। তাই তাঁকে আর নোটিশ পাঠানো হয়নি। তবে মুকুল রায় এখনো প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেননি। তাই তাকে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584