শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
বিদেশি মুদ্রার অবৈধ লেনদেন এবং দেশের বাইরে বিদেশি মুদ্রা গচ্ছিত রাখা-সহ রফতানির খরচ হিসেবে দেখিয়ে ৭,২২০ কোটি টাকা পাচারের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। এই অভিযোগে বিদেশি মুদ্রা আইনের আওতায় (ফেমা) এবার কলকাতার শ্রী গণেশ জুয়েলারি এবং সেটির তিন প্রোমোটারকে নোটিশ পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এখনও পর্যন্ত এটি দেশের সবচেয়ে বড় মাত্রার কারচুপি বলে দাবি ইডির।
কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত নীলেশ, উমেশ এবং কমলেশ পারেখ দাগী অপরাধী বলে তদন্তে উঠে এসেছে। নীলেশের বিরুদ্ধে সিবিআই, ডিরেক্টরেক্ট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স, স্পেশাল ইকোনমিক জোন, ইডি, এমনকী আন্তর্জাতিক সংস্থায় বিভিন্ন মামলা রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবেও বিভিন্ন মামলা চলছে। সুইৎজারল্যান্ডেও একটি মামলার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সংক্রমণ রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া, পশ্চিমবঙ্গে কমছে ট্রেনের সংখ্যা
বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইস্ট ফিট জুয়েলারি প্রাইভেট লিমিটেড নামে পারেখদের অপর একটি সংস্থার বিরুদ্ধেও ২৫০ কোটি টাকা ঋণখেলাপির জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির তালিকার প্রথম একশোয় রয়েছে গণেশ জুয়েলারী হাউস লিমিটেড। অভিযুক্তরা বিভিন্ন দেশে নিত্য নতুন শাখা খুলে ব্যাঙ্কের সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং টাকা বিদেশে পাঠিয়েছে বলেও ইডির অভিযোগ। সেই কারণেই এই সংস্থাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584