নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের, জম্মু ও কাশ্মীরের শিক্ষার মান উন্নয়নের স্বার্থে গৃহীত পরিকল্পনার কার্যপ্রণালী যথেষ্ট তহবিলের অভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পরে, মোদি সরকার এই অঞ্চলে শিক্ষার কাঠামোগত উন্নতি এবং শিক্ষার্থীদের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধাগুলি বাড়িয়ে তোলার বিষয়ে আগ্রহী হওয়ার দরুণ, উন্নয়ন মন্ত্রক জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের জন্য একটি বড় পরিকল্পনা এনেছিল।
পরিকল্পনাটির বাস্তবায়নের জন্য আনুমানিক ২,৬০০ কোটি টাকার তহবিল প্রয়োজন। একজন প্রবীণ সরকারি আধিকারিকের মতে, এই মুহূর্তে এ জাতীয় প্রকল্প গ্রহণের জন্য মন্ত্রকের কাছে পর্যাপ্ত তহবিল নেই। তবে তারা এই প্রকল্পের জন্য অন্যান্য উপলভ্য সংস্থার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন।
এইচআরডি মন্ত্রক প্রথমে তার রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান (রুসা) প্রকল্পের মাধ্যমে এই পরিকল্পনার অর্থায়ন করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে অন্য এক কর্মকর্তার মতে, এই তহবিলগুলিও অপর্যাপ্ত এই প্রকল্পের জন্য।
আরও পড়ুনঃ তাসাটি চা বাগানে বুনো হাতির তাণ্ডব
এইচআরডি মন্ত্রক, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গঠন করার পরিকল্পনা নিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ এবং ৩৫-এ ধারা বাতিল হওয়ায় পরে। প্রধানমন্ত্রী স্থল পরিস্থিতি যাচাই করা এবং পরিকল্পনা তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলিকে নির্দেশ পাঠিয়েছিলেন। এইচআরডি মন্ত্রকও এর পরিকল্পনা গ্রহণের আগে মহড়া চালিয়েছিল।
একটি জাতীয় গণমাধ্যম সূত্রে খবর, মন্ত্রণালয়, বিদ্যমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে আরও বেশি তহবিল সরবরাহ করে নতুন কলেজ চালু এবং সেগুলির কাঠামোগত উন্নয়নে নজর দেওয়ার কথা জানিয়েছে। এর মধ্যে যে প্রকল্পগুলি এখন অর্থের অভাবে আটকে রয়েছে, তাতে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর কর্মসংস্থান বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ প্রকল্প।
আরও পড়ুনঃ মধ্যাহ্ন ভোজে বেরিয়ে এল প্লাস্টিক ভাত, আতঙ্ক রায় পরিবারে
মন্ত্রণালয় প্রায় ২৫,০০০ শিক্ষার্থীর জন্য একটি বৃত্তিমূলক পরিকল্পনা এবং একটি পরামর্শদাতা পরিকল্পনাও করেছিল। এর বাইরেও পলিটেকনিক-সহ সকল প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠানের মান বাড়ানোর লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছিল, যাতে শিক্ষার্থীদের চাকরির জন্য প্রস্তুত করে তোলার দায়িত্ব গ্রহণ করা হবে।
অন্য একটি সূত্র অনুযায়ী, উক্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের উপদেষ্টা কে কে শর্মা সম্প্রতি এইচআরডি কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
মন্ত্রণালয়ের আর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অঞ্চলগুলি এখনও পর্যন্ত যেসব পরিষেবা পেয়ে এসেছে তার কোনও ঘাটতি হবে না। তবে এই পরিস্থিতিতে এর বেশি সরকারিভাবে অতিরিক্ত অর্থায়ন করাও সম্ভব নয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584