ওয়েব ডেস্কঃ
আসামের ভোটার তালিকা প্রসঙ্গে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনা সুপ্রিম কোর্টকে জানালো গত বছরের জুলাইয়ে জাতীয় নাগরিক নথিভুক্ত তালিকার যে খসড়া প্রকাশ করা হয়েছিল সেই অনুযায়ী বহিস্কৃত নামের ভিত্তিতে আসামের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নাম মুছে ফেলা হয়নি ।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জিজ্ঞাসা করেন “৩১ সে জুলাই ২০১৯ এ যে চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিক অন্তর্ভুক্তির তালিকা প্রকাশ করার কথা আছে সেই আলোকে কিন্তু একটা বড়ো প্রশ্ন থেকে যায় । যারা জাতীয় নাগরিক অন্তর্ভুক্তির তালিকায় নেই কিন্তু ভোটার তালিকায় রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে?”
শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে আসামের ২০১৭,২০১৮ ও ২০১৯ সালের ১ লা জানুয়ারি পর্যন্ত আসামের ভোটার তালিকায় নাম নতিভুক্তির নিখুঁত বিবরণ প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে ।
দ্যা হিন্দু সূত্রে জানা গেছে মূলত পাঁচ রকমের সমস্যা রয়েছে।
প্রথমত ,কিছু সংখ্যক নাগরিক আছে যাদের নাম জাতীয় নাগরিক অন্তর্ভুক্তি তালিকায় রয়েছে কিন্তু ভোটার তালিকায় নেই ।
দ্বিতীয়ত, গত ২০১৮ সালের ৩০ শে জুলাই পর্যন্ত অনেকের নাম জাতীয় নাগরিক অন্তর্ভুক্তির তালিকায় রয়েছে কিন্তু ভোটার তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়েছে ।
তৃতীয়ত, ইতিমধ্যেই গুয়াহাটি হাইকোর্ট ও বৈদেশিক ট্রাইবুনাল কর্তৃক যাদেরকে বিদেশি নাগরিকের তকমা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ওই কোর্টের অর্ডারটিকে শীর্ষ আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে ।
চতুর্থত, সুপ্রিম কোর্টের অনুপস্থিতিতেই বৈদেশিক ট্রাইবুনাল অনুসরণ করে যাদেরকে ইতিমধ্যেই বিদেশি নাগরিকদের তকমা দিয়ে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ।
পঞ্চমত,অনেক ব্যক্তির নাম জাতীয় নাগরিক অন্তর্ভুক্তি তালিকায় নেই কিন্তু তার পরিবারের সদস্যদের নাম রয়েছে । এই জাতীয় সমস্যা দিন মানুষরাও তাদের নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য দাবি করেছেন ।
নির্বাচন কমিশনের সচিব যিনি আসাম কেন্দ্রিক সমস্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত ছিলেন, তাঁকে সুপ্রিম কোর্ট আগামী ২৮ শে মার্চের মধ্যে এই মামলায় একটি হলফনামা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584