উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় কমিশন। আজ মধ্য কলকাতার একটি হোটেলে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা সহ অন্যান্য নির্বাচনী আধিকারিকরা। দু’দফা বৈঠকের প্রথম দফায় রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। এরপর রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
এদিন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে তৃণমূলের তরফে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম যান৷ যেখানে তৃণমূলের তরফে কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে ঢুকে বিএসএফের জওয়ানরা বাসিন্দাদের ভয় দেখাচ্ছে৷ অন্যদিকে, বিজেপির তরফ আজ দিলীপ ঘোষ, শিশির বাজোরিয়া এবং সব্যসাচী দত্তরা বৈঠকে যান। তৃণমূলের অভিযোগে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। এ নিয়ে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, বিএসএফের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়৷ তাঁরা তাঁদের কাজ ভালো বোঝে।
তবে এদিন বামেদের তরফে রবীন দেব এবং সুখেন্দু পানিগ্রাহী কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের যোগ দেন। কংগ্রেসের তরফে সৌম্য আইচ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বিএসএফ নিজেদের অধিকারমতো সীমান্ত এলাকায় নজরদারি করে। কারণ সেগুলো সংবেদনশীল জায়গা। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এটাও দেখুক। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক সেরে এমনটাই মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। একে একে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করবে কমিশনের ফুল বেঞ্চ।
আরও পড়ুনঃ ৩০ জানুয়ারি বাজেট নিয়ে ভার্চুয়াল সর্বদলীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী
ইতিমধ্যেই বিজেপির সঙ্গে বৈঠক শেষ হয়েছে। ভোট পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গেও আলোচনা হবে। এডিজি আইনশৃঙ্খলার সঙ্গেও বৈঠক করেন ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার। পরে দিলীপ ঘোষ বলেন ,”নতুন বাইশ লাখ ভোটারের মধ্যে চার-পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের লোকজন ঢুকে পড়েছে। বিএসএফ সীমান্তের পনের কিলোমিটারের মধ্যে ভালই কাজ করছে।” পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ঘোষ। বিএসএফ দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ দাবি মেনে অবশেষে কৃষি আইন স্থগিতের পথে কেন্দ্র
ভোটার তালিকা তৈরি করে কমিশন। তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।’ নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সন্তুষ্ট নন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ চলতি মাসের মধ্যে মানতে হবে। কমিশন জানে পরে কী করতে হতে পারে। তাদের অভিযোগ রাজ্যের দাগি অপরাধীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584