সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
চালু হল বৈদ্যুতিক চুল্লির ক্যানিং মহা শশ্মানঘাট। আপাতত এখানে কোভিড আক্রান্ত কোন মৃত রোগীর দেহ দাহ করা হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে ২১ জুলাই শহীদ দিবস স্মরণে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং-১ নং ব্লকের মাতলা ব্রীজ সংলগ্ন মাতলা নদীর চড়ে চালু হল বৈদ্যুতিক চুল্লির মহা শশ্মানঘাট। ফলে খুশির জোয়ার ক্যানিংবাসীর মধ্যে।দীর্ঘ দিনের স্বপ্নপূরণ হল ক্যানিংবাসীর। দীর্ঘ বছর ধরে ক্যানিংবাসীর দাবি ছিল বৈদ্যুতিক চুল্লির।
আর যা সম্পন্ন হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই। ২০২০ সালের ৭ জানুয়ারি পাথর প্রতিমা ব্লক থেকে বৈতরণী প্রকল্পের বৈদ্যুতিক চুল্লির ক্যানিং মহা শশ্মানঘাট উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুনঃ শহীদ দিবসে ‘ভার্চুয়াল সভা’ মমতার, মুখিয়ে কর্মীরা
কিন্তু করোনা ভাইরাস ও লকডাউনের কারণে নব নির্মিত বৈদ্যুতিক চুল্লির ক্যানিং মহা শশ্মানঘাটটি চালু হয়নি। ফলে এদিন চালু হল ক্যানিং মহা শশ্মানঘাটটি। এদিকে এই মহা শশ্মানঘাটে স্থায়ী ভাবে থাকছে ২ জন ডোম,একজন রেজিস্ট্রার,২ জন সুইপার,একজন অপারেটর।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ও অনুপ্রেরণায় বৈতরণী প্রকল্পে ২০১৭ সালে নভেম্বর মাসে এই ক্যানিং মহা শশ্মানঘাটের শিলান্যাস করেন। সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হল এই বৈদ্যুতিক চুল্লির ক্যানিং মহা শশ্মানঘাটটি।
আরও পড়ুনঃ মৌসমের বাড়ির সামনে মমতার ভার্চুয়াল সভা
এদিকে ক্যানিং মহা শশ্মানঘাটে যারা কাজকর্ম করবে, তাদের এদিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।এদিন উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক শ্যামল মন্ডল,জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল লাহিড়ী,মহকুমা শাসক রবিপ্রকাশ মিনা,ক্যানিং-১নং -র বিডিও নিলাদ্রি শেখর দে, পিডব্লুডি ইঞ্জিনিয়ার প্রমুখ।
ক্যানিং মহকুমায় যে সমস্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ঘটছিল, তাদের দেহ দাহ করতে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ফলে খুবই অসুবিধায় পড়ছিল স্থানীয়রা। তাই সরকারি ভাবে সিদ্ধান্ত হয় করোনা রোগীর দেহ আপাতত এই বৈদ্যুতিক চুল্লির ক্যানিং মহা শশ্মানঘাটে দাহ করা হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584