নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
একাই একশো একটা হাতি । মাত্র কয়েক ঘন্টার তান্ডবে লণ্ডভণ্ড করে দিল পুরো একটা গ্রাম। যা নিয়ে একদিকে যেমন গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে তেমনই গ্রামবাসীদের ক্ষোভ বাড়ছে বন দফতরের প্রতি৷ ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড়ের ধরমপুরে। জানা গিয়েছে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, প্রাইমারী স্কুল সহ তিনটি বাড়ি ভেঙে তছনছ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বন দফতরের গোয়ালতোড় রেঞ্জের অন্তর্গত জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম এই ধরমপুর। যেখানে বারো মাসে তের পার্বণের মতো হাতির আনাগোনা লেগেই থাকে। ফি বছর ধরে জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও টুকটাক বসতবাড়ী ভাঙার ঘটনাও ঘটে। কিন্ত গ্রামে ঢুকে হাতির এমন তান্ডবলীলা আগে কখনো দেখেন নি গ্রামবাসী। গ্রামবাসীরা জানান, জঙ্গল থেকে খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে গ্রামে হানা দেয় একটি হাতি৷
সেই হাতিটি প্রথমে অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের চারটি লোহার জানালা এনং দুটি দরজা ভাঙে। কিন্তু চালের নাগাল না পেয়ে গ্রামের ভিতরে ঢুকে হানা দেয়। গ্রামের তিনটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পরে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে হুলা ও পটকা সহযোগে হাতিটিকে জঙ্গলে ফেরৎ পাঠায়।
এদিকে হাতির এই তান্ডবলীলার জেরে গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাদের অভিযোগ জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম, সন্ধ্যা হতে না হতেই গ্রামে হানা দেয় হাতি৷ এইভাবে তান্ডব চালালে যে কোনো সময় একটা বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। বন দফতরের উচিত হাতি তাড়ানোর ব্যবস্থা করা, কিন্তু তার কোন উদ্যোগ ই নেই ৷ তাদের এই উদাসীনতার কারণেই গ্রামে এসে হাতি তান্ডব চালাচ্ছে৷ এদিকে বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসলে এই জঙ্গলটি হল হাতির বাসস্থান৷
আরও পড়ুনঃ মুখ,পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার একটি অ্যালসেশিয়ান কুকুর
ফলে এখানে হাতি যদি একবার আস্তানা গড়ে তাদের তাড়ানো খুব জটিল৷ তা সত্ত্বেও আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি হাতি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার৷ পাশাপাশি যাদের বাড়ি ভাঙচুর বা ক্ষতি করেছে তাদের উপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে প্রশাসনিক ভাবে৷
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584