নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
একেবারে রঘু ডাকাতের কায়দার অনুকরণ৷ শোনা যায় রঘু ডাকাত নাকি রাতের অন্ধকারে দলবল নিয়ে এসে গৃহস্থের বাড়িতে সিঁধ কেটে ধন সম্পত্তি লুট করে নিয়ে পালাতো। ঠিক সেই একই কায়দাতে ঘর ভেঙে দু বস্তা ধান লুট করে পালায় হাতি৷ যাবার সময় একটি ঘর ভেঙে তাদের উপস্থিতিও জানান দিয়ে যায়। কয়েকটি লুটেরা হাতি এমনই কান্ড ঘটিয়েছে গোয়ালতোড়ের গোহালডাঙ্গাতে।
এরপর কার বাড়িতে হানা দেবে এই লুটেরা বাহিনী তা নিয়েই চিন্তিত স্থানীয় বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে বন দফতরের নয়াবসত রেঞ্জের অন্তর্গত গোয়ালতোড়ের গোহালডাঙ্গা এলাকার জঙ্গলে কয়েকটি হাতি আস্তানা গেড়েছে। সেই হাতি গুলোরই কয়েকটি রবিবার মাঝ রাতে খাবারের সন্ধানে হানা দেয় এই গোহালডাঙ্গা গ্রামে।
গ্রামেরই বাসিন্দা মদন গিরির কাঁচা বাড়ির দেওয়াল ভেঙে বাড়ি থেকে ধান বের করে খায় এবং যাওয়ার সময় দু বস্তা ধান শুঁড়ে প্যাঁচিয়ে নিয়েও যায় গজবাহিনী৷ নিজেদের আস্তানায় ফিরে যাওয়ার পথে চরণ মুর্মু নামে আরেক গ্রামবাসীর বাড়িতেও হানা দেয় বলে জানাযায়৷ হাতির হামলায় তার বাড়িরও কিছুটা অংশ ভেঙে পড়ে। তবে ঘটনায় কোন হতাহতের খবর নেই।
আরও পড়ুনঃ নয়াগ্রামে অভিযান চালিয়ে চোলাই তৈরির উপকরণ উদ্ধার আবগারি দফতরের
হাতির হানায় ভেঙে পড়া বাড়ির মালিক চরণ মুর্মু বলেন, “অনেক কষ্ট করে ঘর টি বানিয়ে ছিলাম৷ এইভাবে হাতিতে ভেঙে দেবে ভাবতেও পারছি না৷ প্রশাসনিক ভাবে বাড়ি মেরামত না করে দিলে সমস্যায় পড়বো৷” এদিকে হাতির এই আচমকা হামলায় চিন্তিত এলাকাবাসী। তাদের বক্তব্য, হাতি বাড়ি ভেঙে ধান বের করে খাচ্ছে। গ্রামের প্রায় বেশীর ভাগ মানুষই চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত৷ আর প্রত্যেকের বাড়িতেই কমবেশী ধান রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নিজের ঘর থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার সাগরদিঘীতে
এই ভাবে যদি ঘর ভেঙে ধান খেতে আসে তাহলেই বিপদ। যে কোন সময় বড়ো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে৷ বনদফতরের উচিত অবিলম্বে হাতি গুলিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া। বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এলাকাবাসীকে সতর্ক করতে প্রচার করা হচ্ছে, যাতে কেউ জঙ্গলে একা না যায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584