হাতির হানা থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচল গোয়ালতোড়ে নাবালক সন্তান-সহ দম্পতি

0
44

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

খাবারের সন্ধানে বের হওয়া দামালের তান্ডবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। বাড়ি ভেঙে বাড়ির মধ্যে মজুত চাল খেয়ে ছড়িয়ে তছনছ করল দামাল হাতি ৷ কোনোরকমে নাবালক দুই শিশুকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচলো এক দম্পতি৷ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বন দফতরের গোয়ালতোড় রেঞ্জের শাঁখাভাঙাতে।

damage house | newsfront.co
ভাঙা বাড়ি ৷ নিজস্ব চিত্র

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে শাঁখাভাঙা গ্রামের হতদরিদ্র চাষি শীতল মূর্মু ও তার স্ত্রী বেলমনি মূর্মু তাদের দুই নাবালক দুই শিশুকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন বাড়ির মধ্যেই। নিম্নচাপের জেরে সারা রাত ধরেই বৃষ্টি হওয়ার জন্য প্রতিবেশীরাও তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে৷ সেই সুযোগে জঙ্গল থেকে খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে একটি হাতি লোকালয়ে চলে আসে। রাস্তার ধারেই শীতলের নতুন কাঁচা বাড়িতে হামলা চালায়। মাটির দেওয়াল ভেঙে বাড়িতে মজুত প্রায় ৫০ কেজি চাল খেয়ে ছড়িয়ে তছনছ করে।

soil house | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

সেই সময় শীতল আর তার স্ত্রী বেলমনি নাবালক দুই শিশুকে নিয়ে বাড়ির মধ্যেই ঘুমোচ্ছিলেন। শুক্রবার ভোর রাতে দেওয়াল ভাঙার আওয়াজে সকলের ঘুম ভেঙে যায়। নাবালক দুই শিশু ভয় পেয়ে চিৎকার করতে থাকে। তখন তারা বাড়ি থেকে কোনো রকমে বের হয়ে পালিয়ে যায়। পরে গ্রামবাসীদের জানালে গ্রামবাসীরা হাতিটিকে তাড়িয়ে জঙ্গলে ফেরত পাঠায়৷

শীতলের স্ত্রী বেলমনি মূর্মু জানান, দিন মজুরি করে কোনো রকমে সংসার চালায়৷ লকডাউনের মাঝেই কোনো রকমে এই মাটির বাড়িটি তৈরি করে অ্যাসবেস্টরের ছাউনি দিয়েছিলাম। আর হাতি এসে বাড়ি ভেঙে চাল খেয়ে চলে যায়৷ এখন এই লকডাউনের মাঝে আমরা কি খাবো আর কোথায় থাকবো সেটাই বড়ো চিন্তার বিষয় ।এদিকে গোয়ালতোড় রেঞ্জের রেঞ্জার খবর পেয়েই শুক্রবার ঘটনাস্থলে এসে সরেজমিনে দেখে যান। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কে আবেদন করতে বলেছি, আবেদনের ভিত্তিতে সরকারি নিয়মানুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ উট নিয়ে উটকো ঝামেলায় মানিকচক থানার পুলিশ

পাশাপাশি তিনি এও জানান যে, গোয়ালতোড়ের ধরমপুরের জঙ্গলে একটি হাতি বেশ কিছুদিন হলো আস্তানা নিয়েছে। সেই হাতিটিই খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে লোকালয়ে গিয়ে উপদ্রব করছে৷ আমরা হাতিটিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু হাতিটি অন্যত্র সরে পড়লেও ফের এই জঙ্গলেই চলে আসছে আর তাতেই এই বিপত্তি ঘটছে। এলাকাবাসীর কাছে আবেদন রাতে একা কেউ ঘোরাঘুরি করবেন না, প্রয়োজনে একত্রিত হয়ে হুলা পটকা সহযোগে হাতিটি গ্রামে এলে জঙ্গলের দিকে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন৷ হাতি তাড়ানোর প্রয়োজনীয় সামগ্রী বন দফতরের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে৷

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here