অতিরিক্ত কাজের চাপ! বোতলে প্রস্রাব সারেন ই-কমার্স সংস্থা আমাজনের কর্মীরা

0
112

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

কাজের চাপে দম ফেলার সময় নেই, কিন্তু প্রকৃতির ডাক অস্বীকার করবেন কি করে! অগত্যা এক পন্থা বের করে নিয়েছিলেন জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থা আমাজনের কর্মীরা। কাজের চাপে দরকারের সময় বোতলের মধ্যেই প্রস্রাব সারতেন তাঁরা। এ খবর সামনে আসতে শুরু হয় তোলপাড়।

amazon | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

কর্মীদের এই অভিযোগ প্রথমে উড়িয়ে দিলেও, পরে কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নেন, এটি মিথ্যা অভিযোগ নয়। সত্যিই বোতলে প্রস্রাব করতে বাধ্য হন বিখ্যাত এই ই-কমার্স সংস্থার বহু কর্মী।এমনকি ব্রিটিশ সাংবাদিক জেমস ব্লাডওয়ার্থ আমাজন সম্পর্কিত একটি বইতে কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক এই অভিযোগটি এনেছিলেন।

তিনি ট্যুইটারেও জানিয়েছিলেন যে, আমাজনে কাজ করার সময় তিনি নিজেও কাজের চাপে সময় না পেয়ে বোতলে প্রস্রাব করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্যে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।প্রাথমিকভাবে আমাজন কর্তৃপক্ষ এই দাবি উড়িয়ে দিলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক কর্মী মুখ খুলতে থাকেন। অবশেষে পিছু হটে আমাজন।

আরও পড়ুনঃ ৫৩৩ মিলিয়ন ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস, তালিকায় ৬০ লক্ষ ভারতীয়

এ প্রসঙ্গে সংস্থার তরফে বিবৃতি দিয়ে প্রথমে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়। বলা হয়, “আমাদের কর্মীদের অনেক সময়েই এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয় যখন শৌচাগারে যাওয়ার সুযোগ থাকে না।” মূলত ট্রাফিকের কারণে বা গ্রাম্য এলাকায় ড্রাইভারদের এমন সমস্যা দেখা দেয় বলে দাবি করেছে এই মার্কিন সংস্থা। তারা ব্যাখ্যা করে এ-ও বলে, করোনার সময় অনেক জায়গাতেই শৌচালয় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।সেসময় বোতলে প্রস্রাবের প্রবণতা বেড়েছিল।

এই স্বীকারোক্তির পরেও স্বাভাবিক ভাবেই আলোচনা থামেনি। আমাজন যদিও জানিয়েছে, “আমরা এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে চাই”, কিন্তু তাতে বিতর্ক ধামাচাপা পড়েনি উল্টে সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিদের মান-সম্মান ও শ্রমের আইন নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here