শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
গত রাত্রের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে জনি বেয়ারস্টো ডাগআউটে বসে একবার হেলমেট পরছিলেন, জস বাটলার একটা ছয় মারলে সেটি আবার খুলে মৃদু হাসছিলেন। ঠিক যেন বুঝতে পারছিলেন না এ ম্যাচে তাঁর আর ব্যাটিংয়ে নামতে হবে কি না! ১২৬ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৬৬ রান তুলে ফেলে ইংল্যান্ড। জেসন রয়ের আউটের পর বাটলারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ডেভিড ম্যালান। ৯ ওভারের মধ্যে ৯৭ রান তুলে ফেলে এউইন মরগানের দল।
৯.১ ওভারে ম্যালান আউট হয়ে যান। বেয়ারস্টোকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিংয়ে নামতে হয়েছে। তবে ইংল্যান্ডের জিততে কোনো অসুবিধাই হয়নি। বাটলারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে কোনো পাত্তা না দিয়েই ম্যাচটি ৮ উইকেটে জিতেছে তারা। তা–ও আবার ৫০ বল হাতে রেখে। বাটলার ম্যাচ শেষে অপরাজিত ছিলেন ৩২ বলে ৭১ রান করে। ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ৫টি করে চার ও ছয়ে। বেয়ারস্টো ১১ বলে করেছেন অপরাজিত ১৬ রান (২টি ছয়)। এর আগে ওপেনার রয় আউট হয়েছেন ২০ বলে ২২ রান করে। ম্যালান করেছেন ৮ বলে ৮ রান।
ইংল্যান্ড তাদের ইনিংসে ছয় মেরেছে ৮টি আর চার ৭টি। দুই দলের পার্থক্যটাই ছিল এখানে। অস্ট্রেলিয়া তাদের ইনিংসে বল সীমানার বাইরে পাঠিয়েছে মাত্র ১২ বার, যার মধ্যে ৫টি ছয়, চার ৭টি। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ে যা সুখের স্মৃতি, তা ওই সীমানা ছাড়া করা ১২ বলেই। এর আগে-পরে যে শুধুই দাপট ইংল্যান্ডের। ফিল্ডিংয়েও ইংল্যান্ড ছিল দুর্দান্ত। সব মিলিয়ে ২০ ওভারে ১২৫ রানেই অলআউট অস্ট্রেলিয়া। ১১.৪ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে ইংল্যান্ড।
টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন মরগান, আজ প্রথম ওভার করিয়েছেন আদিল রশিদকে দিয়ে। সে ওভারে উঠেছিল ৬ রান। পরের ৩ ওভারে অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছে ৩ উইকেট। ওকসের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দেন ডেভিড ওয়ার্নার, জর্ডানকে তুলে মারতে গিয়ে ওকসের দারুণ ক্যাচ হয়েছেন স্টিভেন স্মিথ, ওকসের ফুল লেংথের বলে এলবিডব্লু গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পাওয়ারপ্লেতে অস্ট্রেলিয়া তুলতে পেরেছে ২১ রান। আর ইংল্যান্ড পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে রান নিয়েছে ৬৬টি।
অস্ট্রেলিয়া ১০ ওভারে ৪১ রানের বেশি তুলতে পারেনি, টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ১০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর এটি। এক প্রান্তে টিকে থাকা অ্যারন ফিঞ্চের সঙ্গে একটু প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন ম্যাথু ওয়েড, তবে লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে করতে পেরেছেন ১৮ বলে ১৮ রান। ৫১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা অস্ট্রেলিয়া এরপর নেমেছিল টিকে থাকার লড়াইয়ে। ফিঞ্চ-অ্যাগারের জুটিতে এসেছে ৩৬ বলে উঠেছে ৪৭ রান। জুটি ভাঙে অ্যাগারের আউটে, মিলসের বলে ক্যাচ দিয়ে। নিজের শেষ ওভারে এসে টানা দুই বলে দুই উইকেট নিয়েছেন জর্ডান। ৪৯ বলে ৪৪ রান করা ফিঞ্চকে ক্যাচ বানিয়েছেন জনি বেয়ারস্টোর, কামিন্সকে করেছেন বোল্ড। শেষ ওভারে স্টার্কের উইকেট নিয়েছেন মিলস, জাম্পা হয়েছেন রানআউট।
আরও পড়ুনঃ হাসারাঙ্গার হ্যাটট্রিকের পরও মিলার ম্যাজিকে প্রোটিয়াদের লঙ্কা বধ
আগের দুই ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়া মঈন আলীকে এদিন বোলিংয়েই আনেননি মরগান। লিভিংস্টোনই করেছেন ৪ ওভার, দিয়েছেন মাত্র ১৫ রান। জর্ডানের ৩ উইকেট ১৭ রানে। এই ম্যাচে দূর্দান্ত বল করে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন ক্রিস জর্ডন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584