পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
জমি বিতর্কে অমর্ত্য সেনের মত স্বনামধন্য ব্যক্তির নাম সংবাদ শিরোনামে উঠে আসায় জোর বিতর্ক দানা বাঁধে বিভিন্ন মহলে। এবার সেই নিয়ে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করতে আসরে নামলেন বিশিষ্ট পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত।

এ ব্যাপারে জমি জবরদখল নিয়ে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ এসেছে বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু এগিয়ে আসতে চায় নি কেউ । জমি বিতর্কের সময় উপাচার্য পরিষ্কার জানান, বিশ্বভারতীর জমি স্বতঃপ্রণোদিতভাবে অমর্ত্য সেন জমি মাপতে যাবেন না। এব্যাপারে রাজ্য সরকারের বিভাগীয় দপ্তর এই মাপার কাজ করতে পারে।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও উপাচার্যকে এ ব্যাপারে তাঁর স্মারকলিপি দেওয়ার কথা জানান সুভাষ দত্ত।
তিনি বলেন, বিশ্বভারতীর সম্পত্তি যেন বিধবার সম্পত্তি না হয়। এটা শুধু জমি বিতর্ক নয়, চিন্তার কারণও বটে। কারণ বিশ্বভারতীর জমির পরিমাণ নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। ১৯২১ সালের ২২ ডিসেম্বর সোসাইটি নিবন্ধিকরণ দলিলে বিশ্বভারতীর মোট উল্লিখিত জমির পরিমাণ ৪০০ বিঘা। গত ৩০ ডিসেম্বর উপাচার্য এক গণসঞ্চার মাধ্যমে বলেছেন এই জমির পরিমাণ ১১৩৮ একর।
আরও পড়ুনঃ চাকরির নামে টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার কলকাতা হাইকোর্টের মহিলা আইনজীবী
আবার ১৯৫১ সালে তৈরী বিশ্বভারতী আইন অনুযায়ী এই জমির মোট পরিমাণ ৩০০০ হেক্টর। এই আইনের সাত ধারায় বলা আছে এই পরিমাণ গ্রাহ্য করা উচিৎ । তাহলে এই বিপুল পরিমাণ জায়গার কতটা বিশ্বভারতী দান বা লিজ দিয়েছে, তার সম্পূর্ণ হিসেব জানা জরুরী। তার পুরো সার্ভের দাবিতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন। এর ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে সুভাষবাবু যে আইনের আশ্রয় নেবেন সে কথাও জানান তিনি ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584