নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
সেনাবাহিনীর অনুষ্ঠান এবং ক্যান্টিনের ব্যয় সংকোচনের প্রস্তাব এবার। আর্থিক যোগান ও মানবসম্পদের ব্যবহার যাতে যথাযথ ও সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনানুগ হয় সেকারণেই এমন প্রস্তাব বলে জানা গিয়েছে। আর্মি ডে প্যারেড, ব্রাশ ব্যান্ড, কোয়ার্টার গার্ড, অফিসার্স মেস ও ক্যানটিনের খরচ কমানোর কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে।
স্বাভাবিকভাবেই এই প্রস্তাব ঘিরে বাহিনীর মধ্যে গুঞ্জন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনার পর উঠে এসেছে এই প্রস্তাব। পর্যবেক্ষণটির নাম ছিল, ‘অপটিমাইজেশন অফ ম্যান পাওয়ার এন্ড রিসোর্স: রিভিউ অফ প্র্যাকটিস এন্ড ফেসিলিটিস ইন ইন্ডিয়ান আর্মি’।
বর্তমান বছরের শুরুতে এই পর্যালোচনাটি হয়েছিল, যা থেকে বাহিনীর কম্যান্ড হেডকোয়ার্টার, ডয়েরেক্টরেটে সহমতের ভিত্তিতে গৃহীত এই প্রস্তাব পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনঃ জম্মু-কাশ্মীরের পঞ্চায়েতি রাজ আইন সংশোধন করেছে কেন্দ্র
খরচ কমানোর প্রস্তাব ১৫ জানুয়ারি আর্মি ডে প্যারেড ও ৯ অক্টোবর টেরিটোরিয়াল আর্মি ডে-র ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে বলেই জানা যাচ্ছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে এতদিন অংশ নিত সেনাবাহিনীর ৩০টি ব্যান্ড। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সেই সংখ্যা কমিয়ে ১৮ করতে হবে। ব্যান্ড ছাঁটাইয়ের প্রস্তাব রয়েছে বিটিং রিট্রেটের ক্ষেত্রেও।
আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল সংবাদ মাধ্যমের জন্য পৃথক নিয়ন্ত্রক সংস্থা তৈরির আবেদন কেন্দ্রের
প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে বিজয় দিবস এবং কার্গিল বিজয় দিবস বিভিন্ন অনুষ্ঠান যথাযথ পালন করা হবে। তবে, অনুষ্ঠানগুলি রাষ্ট্রপতিভবনে কেন্দ্রীয়স্তরে হওয়াই শ্রেয়। বাহিনীর প্রতিনিধি হিসাবে কর্নেলস্তরের অফিসাররা হাজির থাকতে পারবেন। বাহিনীর অভিষেক বা পদক প্রদান অনুষ্ঠানেও ব্যয় সংকোচ এর কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে।
জেনারেলস্তরের অফিসারদের গার্ড সংখ্যা কমিয়ে ৪ জন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অনেকগুলোর বদলে একটি ক্যান্টিনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাহিনীর মটর সাইকেল ট্রেনিং স্কুলকে সিগন্যাল ট্রেনিং স্কুলের সাথে মিশিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ট্রুপ ও নৃত্যের দল, মার্শাল আর্টের দল এবং জ্যাজ ব্যান্ড একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে এমনটাই বলা হয়েছে প্রস্তাবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584