ওয়েব ডেস্ক, মুম্বাইঃ
করোনা ও ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ-র জোড়া ধাক্কায় সর্বস্বান্ত হলেও পঠনপাঠনে ব্যাঘাত ঘটতে দেওয়া যায় না। তাই খানিকটা বাধ্য হয়ে মহারাষ্ট্রের উপকূলীয় গ্রামের ২০০ জন পড়ুয়া প্রতিদিন ৫০ কিমি হাঁটে। কারণ একটাই। অনলাইন ক্লাস।
করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ স্কুল, তাই এখন পড়ুয়াদের একমাত্র ভরসা অনলাইন ক্লাস। আর তাই শুধুমাত্র অনলাইন ক্লাসে উপস্থিত হতেই প্রতিদিন এতটা পথ হাঁটতে হয় পড়ুয়াদের। এই দীর্ঘ পথ খানিকটা তাদের বাধ্য হয়েই অতিক্রম করতে হয়। কারণ, দুই সংকটে রত্নগিরি জেলার এই গ্রাম সভ্যতা বিচ্ছিন্ন। নেই ইন্টারনেট ও মৌলিক পরিষেবা। ফলে ৫০ কিমি দূরের গ্রামের ইন্টারনেট এখন তাদের পঠনপাঠনের ভরসা।
আরও পড়ুনঃ এবার থেকে সমাজবিজ্ঞান কোর্স পড়ানো হবে ম্যাকাউটে
কিন্তু একমাস, দু’মাস কেটে গেলেও পরিস্থিতি উন্নতি হয়নি। তাই এবার বাধ্য হয়ে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিটির দ্বারস্থ ওই ৫০ জন পড়ুয়া। যত দ্রুত সম্ভব তাদের গ্রামে ইন্টারনেট ফিরবে, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিটি। এবিষয়ে এই কমিটির চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো বলেছেন, “আমরা সেলুলার সংস্থা ও জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রতিকূলতা সরিয়ে দ্রুত ইন্টারনেট ফেরাতে উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছি।”
আরও পড়ুনঃ হিন্দি না বুঝলে সভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ আয়ুষ সচিবের
পড়ুয়াদের সমস্যার কথা জানিয়ে ২৪ জুলাই রত্নগিরির জেলাশাসককে চিঠি পাঠান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। চিঠিতে কানুনগো বলেছেন, “এক অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা এই চিঠি পাঠাচ্ছি। আপনার জেলার পিনকোড নম্বর ৪১৫৭১৪ থেকে খারাপ ও বিঘ্নিত মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগের অভিযোগ এসেছে। ৩ জুনের নিসর্গ ঝড়ে ওই এলাকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে প্রভাবিত প্রাথমিক পরিষেবা। সেই দিন থেকে এখনও পর্যন্ত গ্রামবাসীদের মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ।”
এই সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ওই এলাকার প্রায় ৫০ জন পড়ুয়া প্রতিদিন বাধ্য হচ্ছে ৫০ কিমি হেঁটে অনলাইন ক্লাস করতে। এই প্রসঙ্গও সেই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন প্রিয়াঙ্কা কানুনগো।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584