নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রাথমিক লড়াইতে ফেস মাস্কই সব থেকে কার্যকরী সেকথা প্রমাণিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর স্টাডিজ ফর ডিসিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন’র ডিরেক্টর রবার্ট রেডফিল্ড জানিয়েছেন, আগামী ৪ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণের হার অনেকটাই কমিয়ে ফেলা সম্ভব হবে যদি প্রত্যেকে ফেস মাস্ক সমানভাবে ব্যবহার করেন। রবার্ট রেডফিল্ড পূর্ণ তথ্য সহ দেখিয়েছেন সার্জিক্যাল ফেস মাস্কের ব্যবহার কিভাবে স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করেছে।
সিদ্ধার্থ ভার্মা, মনহর ধানক এবং জন ফ্র্যাংকফিল্ড এঁরা তিনজনেই ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সকলের, তাঁদের করা এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে সাধারণ দ্বিস্তর বিশিষ্ট সুতি কাপড়ের সেলাই করা মাস্ক সবথেকে বেশি পরিমাণে ড্রপলেট এর বাইরে বেরোনো আটকাতে সক্ষম। অন্যান্য মাস্কের ক্ষেত্রে নাক এবং মাস্কের মাঝে যে ফাঁকা স্থান সেখান থেকে অনেক বেশি পরিমাণে ড্রপলেট নির্গত হয় এবং বাতাসে মিশে ৮ ফুট পর্যন্ত দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ করোনা পরিস্থিতি:দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে ভারত
তবে অন্যান্য রিসার্চের ফলাফল থেকে এটাও স্পষ্ট যে শুধুমাত্র মাস্কের ব্যবহার নয়, সাথে কিছুসময় অন্তর অন্তর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এই তিনটি জিনিস একসাথে মানতে হবে তাহলেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই কমানো সম্ভব।
আরও পড়ুনঃ বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য নয়া নির্দেশিকা ঘোষণা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ রিপোর্ট সাধারণ সুতি কাপড়ের তৈরি ঘরোয়া মাস্ক ব্যবহার এর ওপরই জোর দিচ্ছে, এন ৯৫ মাস্কের থেকে অনেক বেশি। বেশ কয়েকটি বিউটি স্যালোন এও সমীক্ষা চালানো হয়েছে , তার মধ্যে একটিতে দেখা যায় একজন কর্মী উপসর্গবিহীন করোনা পজিটিভ ছিলেন। তিনি ১৩৯ জনকে পরিসেবা দেন। উভয়পক্ষেই সাধারণ মাস্ক ব্যবহার করেছিলেন , কিন্তু টেস্ট করে দেখা যায় কেউই করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হননি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584