মোহনা বিশ্বাস, ওয়েব ডেস্ক : ফের কলকাতার পুলিশের জালে ধরা পড়ল প্রতারণা চক্র। ডিএসপি সেজে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে বুধবার রাতে এক ভুয়ো পুলিশ আধিকারিকসহ চার জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির কিছু যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে এই গ্রেফতারি বলে দাবি করা হয়েছে। ধৃতদের অন্যতম মাসুদ রানা নিজেকে কলকাতা পুলিশের ডিএসপি বলে পরিচয় দিতেন। নিয়োগপত্র থেকে শুরু করে পুলিশের ভুয়ো পোশাক, বেল্ট, ব্যাজ পর্যন্ত তৈরি করে ফেলেছিল সে। তবে শেষরক্ষা হল না। পুলিশি তৎপরতায় ধরা পড়ে মাসুদ। তার কাছ থেকে নগদ দেড় লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, মাসুদ রানা ছাড়া এই চক্রের আরও চারজন জালিয়াতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রবি মুর্মু মালদহ, শুভ্র নাগ গাইঘাটা এবং পরিতোষ বর্মণ মেদিনীপুরের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবি মুর্মু কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। ২০১১ সালে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সেই সময়ও তার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছিল।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে রাজ্য পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির পাঁচ যুবক। তাঁদের দাবি, কলকাতা পুলিশের হোমগার্ডে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁদের কছ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা নেন চার ব্যক্তি। কিন্তু চাকরি মেলেনি। প্রতারিতরা আরও জানিয়েছেন, মাসুদ রানা নামে কলকাতা পুলিশের এক ভুয়ো ডিএসপির পরিচয়পত্র দেখায় প্রতারকরা। সঙ্গে তাঁদের দেখানো হয় কলকাতা পুলিশের উর্দি, বেল্ট ও টুপি। এসব দেখেই পাঁচ যুবক মোট ৩৫ লক্ষ টাকা দেন প্রতারকদের। কলকাতার চাঁদনি চকের একটি হোটেলের সামনে সেই টাকা প্রতারকদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তাঁরা। এর পরই বুঝতে পারেন এই সবকিছুই আসলে ভুয়ো। কলকাতার চাঁদনি চক ও মেদিনীপুরে হোটেলে বসে ওই চক্র চালাত তারা।
এই ঘটনায় লালবাজারে অভিযোগ করেন প্রতারিতরা। তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা। শেষমেশ শালবনীর বাসিন্দা বউবাজার থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584