নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
প্রধান দুটি দাবি অর্থাৎ কৃষি আইন প্রত্যাহার এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে আইনি বৈধতা দেওয়া, কেন্দ্র মানতে রাজি না হলে আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন বিক্ষোভকারী কৃষকরা।
বিক্ষোভকারী কৃষক সংগঠনগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রের সপ্তম পর্যায়ের বৈঠক রয়েছে আগামী ৪ জানুয়ারি। ওই বৈঠকে দাবি না মিটলে হরিয়ানার সমস্ত শপিং মল ও পেট্রোল পাম্প বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিল্লি সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকেরা।
গত বুধবারই কৃষক ও কেন্দ্রের যে বৈঠক হয়েছে, তাতে কৃষকদের চাষের কাজে ব্যবহারের জন্য বিদ্যুত শুল্ক হ্রাস ও কৃষি উৎপাদনের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর জন্য আর্থিক জরিমানার না করার দাবি মেনে নিয়েছে কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।
আন্দোলনকারীদের মোট চারটির মধ্যে দু’টি দাবি মেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষই সহমত পোষণ করেছিল। বাকি প্রধান দুই দাবি, অর্থাৎ কৃষি আইন প্রত্যাহার এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে আইনি বৈধতা দেওয়া এই দুটি বিষয়ে আগামী সোমবার, ৪ জানুয়ারি কেন্দ্র ও কৃষক সংগঠনগুলির মধ্যে বৈঠকে আলোচনা হবে।
আরও পড়ুনঃ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পারমানবিক স্থাপনার তালিকা বিনিময়
সিংঘু সীমানায় বিক্ষোভকারী কৃষক সংগঠনগুলির তরফে বলা হয়েছে যে, তাঁদের দাবির মাত্র পাঁচ শতাংশ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দাবি না মানা হলে আগামী সপ্তাহেই শাহজাহানপুর সীমানা থেকে দিল্লির দিকে রওনা দেবেন তাঁরা।
আন্দোলনকারী কৃষকদের নেতা যুধবীর সিং বলেন, কেন্দ্র যদি মনে করে থাকে যে শাহীনবাগের মতো তাঁদের এই আন্দোলন উঠে যাবে, তবে সরকার ভুল করছে। তাঁরা বলেন,’শাহিনবাগের মতো আমদের কোনও মতেই ওঠানো যাবে না। দাবি না মেটা পর্যন্ত দিল্লি সীমানা থেকে আমরা নড়বো না।
আরও পড়ুনঃ সমগ্র দেশেই করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে, ঘোষণা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
দ্য অল ইন্ডিয়ান সংঘর্ষ কো-অর্ডিনেশন কমিটি এক প্রেস বিবৃতিতে সমঝোতার সূত্র নিয়ে আলোচনাকারী কর্পোরেট-বুদ্ধিজীবীদের ও সমালোচনা করেছে। আন্দোলনকারী তিন নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় বলে জানানো হয়েছে। তাঁদের মতে, এই আইন কর্পোরেট স্বার্থবাহী, তাই ছোট দু’টি দাবিপূরণের মাধ্যমে কৃষক বিক্ষোভ কোনওমতেই প্রশমণ করা যাবে না।
প্রতিবাদী ৪০ কৃষক সংগঠনগুলোর ঐক্যবদ্ধমঞ্চ সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে বলা হয়েছে ৪ জানুয়ারির বৈঠক ফলপ্রসূ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন, ৬ জানুয়ারি ট্রাক্টর মার্চ হবে কুন্দলি-মানেসার-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতে। দিল্লি-হরিয়ানা-রাজস্থান সীমানায় অবস্থানরত কৃষকদের শাহজাহানপুর সীমানা থেকে দিল্লির দিকে এগিয়ে যাওয়ার ডাক দেওয়া হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584