নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
দিল্লির যন্তরমন্তরেই বিক্ষোভ প্রদর্শনের দাবিতে অনড় কৃষকরা, রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে কৃষক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, বুরারির মাঠে নয় যন্তরমন্তরেই বিক্ষোভ সমাবেশ করতে দিতে হবে। বিদ্রোহী কৃষকদের সংগঠন বিকেইউ ক্রান্তিকারীর সভাপতি এস ফুলে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাঁচদিক থেকে দিল্লিকে ঘিরে ফেলবেন তাঁরা। পাঁচটি এন্ট্রি পয়েন্টই বন্ধ করে দেওয়া হবে।
নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। রাজধানীতে বিক্ষোভের অনুমতি না মিললেও, দিল্লির বিক্ষোভে শামিল হতে কৃষকরা লং মার্চ করে জড়ো হতে থাকেন পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায়। কৃষকদের হঠাতে জলকামানও ব্যবহার করেছে পুলিশ, তাতেও হাল ছাড়েননি বিক্ষুব্ধ কৃষকরা।
আরও পড়ুনঃ শাহের প্রস্তাব খারিজ, যন্তরমন্তরেই বিক্ষোভ দেখাতে মরিয়া কৃষকরা
‘দিল্লি চলো’ মার্চের অঙ্গ হিসেবে শুক্রবার পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। শনিবারও তীব্রতর হয়েছে আন্দোলন।
কৃষক সংগঠনগুলির কাছে রাতে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্ৰী অমিত শাহ বলেন, কৃষক সংগঠনগুলি যদি ৩ ডিসেম্বরের আগে আলোচনা করতে চায়, তাহলে প্রতিবাদ অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেলে পরের দিনই সরকার আলোচনায় বসবে।
আরও পড়ুনঃ সবাই সন্ত্রাসবাদী, ভারতীয় কী শুধু বিজেপি কর্মীরা- প্রশ্ন মুফতির
ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের সভাপতি যোগিন্দার সিং উগ্রাহন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, দিল্লি সীমানা বন্ধ না করে বুরারিতে বিক্ষোভ আন্দোলন করার আর্জি জানিয়েছেন অমিত শাহ। কিন্তু তাঁরা কোনমতেই সেখানে যাবেন না। সীমানা আটকে থাকলে অসুবিধা হয় অবশ্যই, তাই তাঁরা আর্জি জানিয়েছেন যাতে যন্তরমন্তরেই সরকার তাঁদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের অনুমতি দেয়।
এদিন বিকেলে কৃষক সংগঠনগুলি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছেন, বুরারির মাঠ একটি মুক্ত জেলখানা ছাড়া কিছু নয়। ওখানে নিয়ে গিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তাঁরা যন্তরমন্তরেই যাবেন, পাঁচটি এন্ট্রি পয়েন্ট রাজধানীতে ঢোকার সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584