সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ


চাষিদের দ্বিগুন লাভের পাশাপাশি ফসলের গুনগত মান বাড়াতে জৈব্য প্রযুক্তিতে চাষ করার কর্মসূচি নিল সুন্দরবনের চাষিরা। দক্ষিন সুন্দরবনের কাকদ্বীপ মহকুমায় চারটি ব্লকের শতাধিক চাষিদের নিয়ে শুরু হয় কর্মশালা।আইকন এগ্রিটেক ও ইউনাইডেট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ নামে বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে এলেন চাষিদের এই প্রশিক্ষণ দিতে। নামখানা পাথরপ্রতিমা কাকদ্বীপ সাগরদ্বীপের চাষিদের আয় বাড়ানোর পাশাপাশি ফসলের গুনগত মান বৃদ্ধির সাথে সাথে, রোগমুক্ত শরীর গড়তে জৈব্য প্রযুক্তিতে চাষের কর্মশালার আয়জন করা হয়।আইকন এগ্রিটেক ও ইউনাইডেট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা মনোজ কুমার দাস জানান প্রায় ৮০ শতাংশ দক্ষিন সুন্দরবনের কৃষিজীবি রাসায়নিক সারে চাষ করেন।অধিক ফসল উৎপাদন হলেও এই ফসলে পচন ধরে খুব কম সময়ে,ফলে দিনের পর দিন লাভের গুড় পিঁপড়ে খাওয়ার মত অবস্থা।অন্যদিকে ফসলে রাসায়নিক সার প্রয়োগের ফলে রোগাগ্রস্থ হচ্ছে মানুষ,লাভ কুড়াতে মারণ রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।জৈব্য প্রযুক্তিতে সরকারি প্রচার না থাকায় বর্তমানে পাঁচ থেকে দশ শতাংশ কৃষিজীবি চাষ করছেন।অধিক লাভ হলেও প্রচারের অভাবে কমে যাচ্ছে জৈব প্রযুক্তির চাষ।বর্তমানে কাকদ্বীপ ব্লকের ঋষি বঙ্কিম গ্রাম পঞ্চায়েতের বামানগর গ্রাম,বাপুজি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪ নং মিলননগর,১২ নং তক্তি বেড়িয়াতে জৈব্য প্রযুক্তিতে চাষ শুরু হয়েছে।টমাটো লঙ্কা উচ্ছে ঝিঙে লঙ্কা লেবু পান ফুল চাষে লাভবান হচ্ছে অনেকে।তবে এবার কাকদ্বীপ নয়। চাষ করার ইচ্ছে প্রকাশ করছেন সাগরদ্বীপ পাথরপ্রতিমার চাষিরাও।আগামী দিনে সরকার এগিয়ে এলে আরও ফলপ্রসূ হবে এই চাষ ব্যবস্থা,উৎপাদিত ফসল বিদেশের বাজারেও রপ্তানি যোগ্য হয়ে উঠবে।

আরও পড়ুন: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের উদ্যোগে গ্রামীণ কৃষি মেলা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584