মুনতাজ রহমান, বীরভূম:
বীরভূমের ইলামবাজারে গর্ভে কন্যাভ্রূণ থাকায় গৃহবধূকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। আইন থাকলেও আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদার চলছে ভ্রূণ জেনে নেওয়া। গর্ভে কন্যা আছে জানতে পারায় ওই গৃহবধূর পেটে লাথি মারা হয় বলে দাবি মেয়ের বাপের বাড়ির আত্মীয়দের। পাশাপাশি, খুন করে আত্মহত্যা দেখাতে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। মৃতার নাম রুমা সেন। স্বামী বিশ্বনাথ নন্দী পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী।
কয়েকদিন আগেই স্বামী এবং ননদ অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূকে নিয়ে গিয়ে আল্টাসোনোগ্রাফি করান। সেখানেই তাঁরা কন্যাভ্রূণের কথা জানতে পারেন বলে দাবি আত্মীয়দের। তাঁদের আরও দাবি, বুধবার বাড়িতে ফোন করে আতঙ্কে রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন রুমা। ওই দিনই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত রুমাকে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে আশা হয় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে, সেখানে দেখা যায় তার গর্ভে কন্যা সন্তান আছে, মায়ের সঙ্গে তারও মৃত্যু ঘটেছে। পরের দিন মেয়ের পরিবারের তরফ থেকে ইলামবাজার থানায় অভিযোগ দারের করা হয় মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় স্বামী এবং ননদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শ্বশুর ও শাশুড়ি পলাতক। কোন নার্সিংহোমে হয়েছে এই আল্ট্রাসোনোগ্রাফি হয়েছিল, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।ঐ স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়ি এবং দোকান সিল করে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে মেয়েরা সমাজে আজও কতটা অসহায়।
(Source-khaboronline.com)
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584