শ্যামল রায়,নদীয়াঃ
নদীয়ার তেহট্ট ফেরিঘাটে যাত্রী পরিষেবা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।অভিযোগ যে এই ফেরিঘাটে কয়েক হাজার যাত্রী প্রতিদিন পারাপার করলেও এই ফেরিঘাটে নেই কোন রকম পরিষেবা।নেই জেটির ব্যবস্থা নেই শৌচালয়।সেই সাথে নেই কোন প্রতীক্ষালয়। তাই বর্ষাকালে ফেরিঘাটে যে সমস্ত যাত্রীসাধারণ অপেক্ষা করেন তাদের বৃষ্টিতে ভিজতে হয়।আবার গ্রীষ্মকালে রোদে পুড়ে পুড়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ওই ফেরিঘাটে এমনটাই অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীসাধারণের কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।সোমবার এই ফেরিঘাটের পরিষেবা নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।স্থানীয় বাসিন্দারা সমীর দেবনাথ ঝুমা রায় প্রমূখদের অভিযোগ যে এই ফেরিঘাটে তেহট্ট ১ এবং তেহট্ট ২ ব্লকের প্রায় দশহাজার যাত্রী এই ফেরিঘাট দিয়ে পারাপার করে থাকেন। কিন্তু ফেরিঘাটের পরিষেবার কোন উন্নয়ন চোখে পড়ে নি আজও।অথচ এই সমস্ত এলাকার ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অফিস যাত্রী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের এই ফেরিঘাট দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
বর্ষাকালে নদী ফুলে ফেঁপে ওঠে তাই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় বলে অভিযোগ।নৌকায় নেই লাইভ জ্যাকেট।
স্থানীয় সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক জাহাঙ্গির মল্লিক জানিয়েছেন যে ঘটনাটি সত্যি ওই ফেরিঘাটে জায়গার অভাব রয়েছে একজন ব্যক্তি একটি গ্যারেজ খুলে বসে আছে। একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে গ্যারেজ তুলে নেওয়ার জন্য আজও পর্যন্ত তোলেনি এছাড়াও পুলিশকে বারবার বলেছি গ্যারেজটি তুলে দেওয়ার জন্য তাই জায়গার অভাবে প্রতীক্ষালয় এবং শৌচালয় তৈরি করা যাচ্ছে না।জায়গা পেলে দ্রুত এই কাজগুলো করা যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।
তবে এই ফেরিঘাটে আসা প্রায় পাঁচশো ছাত্র-ছাত্রী রোজ পারাপার করে থাকে। তাই যাত্রীদের দাবি এই ফেরিঘাটের উন্নয়ন বাড়ানো হোক এবং প্রতীক্ষালয় সহ শৌচাগার তৈরি করা হোক।
আরও পড়ুন: নির্বিঘ্নে গঠিত হলো কালনা ২ ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েতের
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584