হরষিত সিংহ,মালদহঃ
প্রধান গঠনকে কেন্দ্র করে বোমা ও গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল দুই জনের।ঘটনায় গুরুতর জখম শিশুসহ তিন জন।সোমবার মানিকচক ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল হুকুমতটোলা এলাকা।আহতরা বর্তমানে মালদহ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অভিযোগ,সমস্ত ঘটনা পুলিশের সামনে ঘটলেও পুলিশকর্মীরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
মালদহের মানিকচক ব্লকের গোপালপুর পঞ্চায়েত দশ আসন বিশিষ্ট।পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে পাঁচটি করে আসন দখল করে কংগ্রেস ও তৃণমূল। সূত্রের খবর,কংগ্রেস প্রথমে বোর্ড গড়ার চেষ্টা চালালেও পরে সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হয়,কিন্তু প্রধান কে হবে তানিয়ে শাসকদলের অন্দরে কোন্দল শুরু হয়ে যায়। মূলত দুটি গোষ্ঠী নিজেদের লোককে প্রধান করার চেষ্টা শুরু করে।একপক্ষের নেতা হলেন ওই পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সাইফুদ্দিন শেখ। অন্যপক্ষের নেতা হলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা জামিরুল শেখ।প্রধান পদে জামিরুলের প্রার্থী ছিলেন সেরাজুল শেখ। এদিকে প্রধান পদে নিজের পছন্দের প্রার্থী ঠিক করে রাখেন সাইফুদ্দিন শেখও। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলছিল।সোমবার গোপালপুর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন নির্ধারিত ছিল।সেই মতো সকাল থেকেই পঞ্চায়েত চত্বরে মোতায়েন করা হয় পুলিশ,কিন্তু তার আগেই পঞ্চায়েত দপ্তর ঘিরে ফেলে সাইফুদ্দিনের লোকজন।তারা জামিরুল শেখের লোকজনকে সেখানে ঢুকতেই দেয়নি বলে অভিযোগ।এরপরেই সেখানে শুরু হয়ে যায় দুই পক্ষের বোমাবাজি। অভিযোগ একসময় গুলি চলতে শুরু করে। বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় সালাম শেখ নামে ২৫ বছরের এক যুবকের। মাথায় ও ঘাড়ে গুলি লাগে আজহার শেখ নামে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধের।তাকে মালদা মেডিকেলে নিয়ে আসা হলে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকেরা। বোমা ও গুলিতে আহত হয়েছেন ফারুক শেখ, মণিরুদ্দিন শেখ সহ জিসান শেখ নামে তিন বছরের এক শিশুও।স্থানীয়দের অভিযোগ, এদিন গোটা ঘটনা পুলিশের সামনেই ঘটে। তবে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সময়মতো পুলিশ ব্যবস্থা নিলে এত বড়ো ঘটনা ঘটত না।যদিও এ নিয়ে পুলিশ কোনও মন্তব্য করেনি।পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় মোতায়ন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
আরও পড়ুন: পর্যটনের উন্নয়নে কাটোয়ায় বরাদ্দ পাঁচকোটি
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584