শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
সমস্ত হিসেবের খরচ থাকলেও বিপর্যয় মোকাবিলার হিসেবের কোনও খরচ আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব নয় কোনও রাজ্যের পক্ষেই। তবে করোনা মহামারীর মত বিপর্যয় এসে হাজির হলে তার প্রভাব রাজ্যে কোষাগারে পড়তে বাধ্য। তার ওপর আগামী বছর রয়েছে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন।
তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারি খরচে রাশ টানার বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য অর্থ দপ্তর। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হল মেয়াদ। তার জন্য ১২ দফা নিয়মও জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চ মাসে করোনা পরিস্থিতি চলে আসার পরে গত ২ এপ্রিল রাজ্যের অর্থ দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে খরচে রাশ টানার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ শহরের নস্টালজিয়া উসকে দিতে উদ্বোধন ‘ট্রাম লাইব্রেরি’-র, শুরু নয়া সফর
এই বিজ্ঞপ্তিতে প্রথমে উল্লেখ করা হয়েছিল, ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যয় সংকোচনের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হবে। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানোর তবে অর্থ দপ্তরের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে আবারও বাড়ল ব্যয় সংকোচনের সময়সীমা।
এই নয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নতুন কোনও প্রকল্পে হাত দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি থাকবে। তবে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের ক্ষেত্রে ছাড় মিলবে। তবে যে কোনও খরচের ক্ষেত্রে আগাম অর্থ দপ্তরের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।
আরও পড়ুনঃ চুক্তির শর্ত মানছে না রাফাল নির্মাণকারী সংস্থাঃ সিএজি
বিদেশে ভ্রমণ কিংবা দেশের মধ্যে বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণ বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু সবরকম বেতন, সাম্মানিক, পেনশন যা নিয়মিত দেওয়া হয় তাতে কোনও বাধা রাখা হয়নি।
এছাড়াও যে কোনও দফতরে নতুন নিয়োগ, গাড়ি কেনা, কম্পিউটার কেনা, ভবন তৈরির মতো বিষয়ে একমাত্র অর্থ দফতরের ছাড়পত্র ছাড়া করা যাবে না বলে স্পষ্টই জানানো হয়েছে।
এর ফলে সরকারি কর্মীদের কোনওরকম অ্যাডভান্স, বাড়ি তৈরি কিংবা বিবাহের আর্থিক সহায়তা কোনওকিছুই দেওয়া হবে না। তবে নিজের জিপিএফের টাকা সন্তানের শিক্ষা কিংবা বিবাহের জন্য তোলা যাবে। রাজ্যের সর্বস্তরের সরকারি কর্মী ও আধিকারিকদের যে বিশেষ আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হত, তাতেও নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584