নেই আয়ের দিশা জনমুখী প্রকল্পের ঘোষণা, প্রতারণার বাজেট প্রতিক্রিয়া সুজনের

0
73

ওয়েবডেস্ক, নিউজফ্রন্টঃ

চিত্র সৌজন্যঃ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা

কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের সাধারণ বাজেট পেশ করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এদিন ৩৮ মিনিটের বাজেট ভাষণে নানা জনমুখী প্রকল্প ঘোষণা করার পাশাপাশি মোদী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, দেশের অর্থনীতি ভেন্টিলেশনে চলে গিয়েছে বলে দাবি করেন। প্রশ্ন করেন কোথায় গেল ‘আচ্ছে দিন’ ?

আজকের বাজেটে নানা জনমুখী প্রকল্প ঘোষিত হলেও আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনও উচ্চবাচ্য করেন অর্থমন্ত্রী। তাঁর দাবি, রাজ্যের জিডিপি ১০.৪ শতাংশ। এদিন অমিত মিত্র বলেন, রাজ্যে বেকারত্বের হার কমেছে ৪০ শতাংশ। আর এই বেকারত্বের হার কমার কারন হিসাবে এমএসএমই-র সাফল্যকে তুলে ধরেন তিনি। কর সংগ্রহের জন্য নতুন প্রকল্প ঘোষণা করেন তিনি। যাতে বকেয়া কর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শোধ করলে বিপুল ছাড় ঘোষনা করেন তিনি। একইসাথে তিনি তাড়াহুড়ো করে জিএসটি চালু করায় এখনও রাজ্যগুলি ভুগছে বলে দাবি করেন।

আরও পড়ুনঃ দিল্লির পথে হেঁটে বাংলায় ‘হাসির আলো’ প্রকল্পে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ

বাজেট পেশের পর সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র

তপশিলি জাতি উপজাতি প্রবীণদের জন্য বিশেষ পেনশেন প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। তপশিলি জাতির জন্য ঘোষিত প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বন্ধু’, উপজাতিদের জন্য ঘোষিত প্রকল্পের নাম ‘জয় জোহর’। এই প্রকল্পে অন্য কোন পেনশন পান না এমন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা মাসে এক হাজার টাকা ভাতা পাবেন। এক্ষেত্রে আয়ের কোন উর্ধসীমা নেই।

এছাড়া রাজ্যে তিনটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ঝাড়গ্রামে বিরসামুন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়, তপশিলিদের জন্য আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় এবং আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও পড়ুনঃ রাস্তা আটকে শাহিনবাগে বিক্ষোভ চালানো যাবে না, কেন্দ্রকে কড়া নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

রাজ্যের মানুষের কাছে সরকারি প্রকল্প পৌঁছে দিতে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ২ হাজারের বেশি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র খোলা হবে। মহকুমাশাসকের করণ থেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছড়িয়ে থাকবে এই কেন্দ্রগুলি।

অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, রাজ্যের কৃষকদের আয় তিনগুণ বেড়েছে বলে দাবি করেন অর্থমন্ত্রী পরে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন যে, কৃষিক্ষেত্রের বহরও বেড়েছে তিনগুন। চা বাগানের জন্য একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে এদিনের বাজেটে।

চা শিল্পে কৃষি আয়কর মুকুব করেছে রাজ্য সরকার। এছাড়া ‘চা সুন্দরী’ নামে একটি প্রকল্পে চা বাগানের শ্রমিকদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে গৃহ নির্মাণের ঘোষণা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে চা বাগানের পর্যটনের জন্য বরাদ্দ টাকা থেকে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

এছাড়া অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য কল্যাণ প্রকল্প একেবারে বিনামূল্যে দেওয়া হবে। এতোদিন এই প্রকল্পে মাসে ২৫ টাকা দিতো উপভোক্তা রাজ্য সরকার দিতো ৩০টাকা। এবার পুরোটাই দেবে রাজ্য সরকার।

এছাড়া ‘হাসির আলো’ প্রকল্পে ৩ মাসে ৭৫ ইউনিটের কম বিদ্যুৎ খরচ হয় এমন পরিবারের বিদ্যুৎ বিল ফ্রি করা হয়েছে।

গত আর্থিক বছরে রাজ্যে ৯.১১ লক্ষ্য কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে বালে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী। এদিন বাজেট বক্তব্য শেষে বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলার সরকার জনগনের সাথে সব সময় ছিলো আছে থাকবে। কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়াই মানুষের দুঃখ দূর করার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তাঁরা। একইসাথে তিনি জানান যে, কেন্দ্রের কাছে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।

যদিও বাজেট পেশের পর বিরোধী বাম কংগ্রেস সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে। কল্পতরু হওয়ার চেষ্টা করেও মমতা পারেননি বলে দাবি বিরোধীদের। সাংবাদিক সম্মেলনে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বাজেটে কোন দিশা নেই’। বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘লোক দেখানো কথা বলা হচ্ছে, প্রতারণার বাজেট এটা ভোটকে সামনে রেখে করা হয়েছে।‘

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here