নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
গত কয়েকদিনে লু-এর ফলে শুকনো আগাছা থেকে ছড়ানো দাবানলে অস্ট্রেলিয়ার দুটি রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রবিবার অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলের আবহাওয়া অপেক্ষাকৃত শীতল হওয়ায়, অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার প্রচেষ্টা চালায়।
রয়টার্স সূত্রে খবর, উপকূলবর্তী অঞ্চলে হালকা বৃষ্টি এবং শীতল আবহাওয়া এই আগুনের হলকা থেকে কিছুটা নিস্তার পাওয়ার আশা যোগাতে পারে। তবে কর্তৃপক্ষের মতে আগুনের ব্যাপকতা এবং ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অনুযায়ী আগুন নেভানোর জন্য এই পরিবেশ যথেষ্ট নয়। নিউ সাউথ ওয়েলসের রুরাল ফায়ার সার্ভিস কমিশনার শেন ফিৎসিম্মন্স-এর মতে, এই পরিস্থিতিতে এটি শুধুমাত্র কিছুটা মানসিক প্রশান্তিই আনতে পারে, তার বেশি কিছু নয়।
নিউ সাউথ ওয়েলস এবং ভিক্টোরিয়ার প্রায় দশ হাজার বাড়িতে এতদিন বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ ছিল। রবিবার সেনাবাহিনী এবং পুলিশের তত্বাবধানে সমস্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করা এবং সেই সাথে উপকূলবর্তী অঞ্চলের শহরগুলিতে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করার কাজ শুরু হয়। বিপুল পরিমাণে সম্পদ এবং সম্পত্তি ধ্বংসের সাথে বছরের শুরুতেই এই ভয়ঙ্কর অগ্নিলীলা শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত ২৪ জন মানুষের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে দলকল আধিকারিকদের মতে, এই সপ্তাহে আগুনের তীব্রতা বাড়ার সম্ভবনা আছে এবং আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই আগুন পরবর্তী অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এনএসডব্লিউ প্রিমিয়ার গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ান জানিয়েছেন, আগুনের গতিবেগ এবং প্রসার যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে এমন অনেক সম্প্রদায় এই লেলিহান শিখার কবলে পড়ছে যারা অতীতে কোনওদিন আগুনই দেখেনি।
গ্রীষ্মের ছুটির মরশুমের শুরুতেই উপকূলবর্তী অঞ্চলের শহরগুলি থেকে কয়েক হাজার মানুষকে উদ্ধার করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছিল— যাকে ১৯৭৪ সালে ট্রেসি ঘূর্ণিঝড়ের পর আরেকটি নজিরবিহীন উদ্ধারকার্য বলে উল্লেখ করা যায়।
অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূল দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে আগুনের শিখায় দগ্ধ হয়ে রয়েছে। অভিজ্ঞদের মতে, জলবায়ুর অস্বাভাবিক পরিবর্তনের ফলে গত তিন বছর ধরে খরা আক্রান্ত হওয়ায় সমগ্র অঞ্চলের গাছপালা শুকিয়ে গেছে। এবং এটাই এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584