শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
২৪ ঘন্টা আগেই আতসবাজি পোড়ালে পরিবেশ দূষণ হয় না এমন দাবি করে আতসবাজি বিক্রির পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন, এমনটাই কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন সারা বাংলা আতসবাজি কমিটির চেয়ারম্যান বাবলা রায়।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কালীপূজায় বাজি বন্ধের আবেদন জানানোর পর এবার বাজি ব্যবসায়ীদের কথা ভেবে কার্যত অনুরোধের সুর বাজি শিল্পীদের। ৩১ লক্ষ বাজি শিল্পীদের স্বার্থে কালীপূজার ২ দিন ২ ঘন্টা করে বাজি পোড়ানোর জন্য অনুমতি চাইলেন তারা। তাদের চিঠি পেয়ে বৃহস্পতিবার তাদের নবান্নে তলব করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্নে এই বৈঠকে রাজ্যের পক্ষে থাকবেন মুখ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিব। সংগঠনের নেতা বাবলা রায় আজ বেলা ১২ টায় মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন। সেখানে ৩১ লক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকা সংশয়ের বিষয়টি জানানো হয়। বেলা সাড়ে তিনটেয় নবান্ন থেকে বাবলা রায়ের কাছে ফোন পৌঁছায়।
আরও পড়ুনঃ অমিত শাহের সফরের আগে চমক মুখ্যমন্ত্রীর, মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদের জন্য বরাদ্দ ১০ কোটি
মুখ্যসচিব আলাপন ব্যানার্জি কিছুক্ষণ কথা বলার পর ফোনে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৃহস্পতিবার বাবলা রায়কে নবান্নে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আক্রান্তদের ক্ষতি বিবেচনা করে কালীপুজোয় বাজি না পোড়ানোর আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর
বাজিশিল্পীদের পক্ষে বাবলা রায় যে যে আর্জি রাজ্যের কাছে জানাতে চলেছেন তা হল, ১৪ ও ১৫ নভেম্বর রাত ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত অর্থাৎ মোট ৪ ঘণ্টা রাজ্যে বাজি পোড়ানোর অনুমতি দিক রাজ্য।
৩১ লক্ষ বাজি শিল্পী ও বিক্রেতার মধ্যে যাঁরা সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত, অর্থাৎ দমকল, পরিবেশ সহ অন্যান্য ৬ টি সরকারি দফতর দ্বারা স্বীকৃত, সেই ৫৩ হাজার ব্যবসায়ীকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক । চিনা বাজি বা বেশি ধোঁয়ার বাজির বদলে গ্রিন ক্র্যাকার ফাটানোর অনুমতি দেওয়া হোক।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584