মোহনা বিশ্বাস, ওয়েবডেস্কঃ
করোনা ভাইরাসের কবলে গোটা বিশ্ব। কোভিড-১৯-এর প্রকোপ পড়েছে বাঙালির উৎসবের উপরেও। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পার্বনগুলি নির্জনতার সঙ্গে একাকী কাটাতে হয়েছে বাঙালিকে। এবার করোনার প্রভাব ফেলেছে খুশির ইদেও। করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। সংক্রমণ যাতে না ছড়িয়ে পড়ে তাই জমায়েতেও বাধা। ইমামদের নির্দেশে বাড়ি থেকেই এবছর দেশের সকল মুসলিম ধর্মালম্বীরা ইদ পালন করলেন। নামাজও পড়লেন বাড়িতেই। সোমবার মন্ত্রী থেকে আম জনতা এই একইভাবে ইদ পালন করলেন সকলে। এবছর শহরতলীতে ইদের চিত্রটা ধরা পড়ল একেবারেই অন্যরকমভাবে।
উত্তর কলকাতার নাখোদা মসজিদ সংলগ্ন জাকারিয়া স্ট্রিটেও ইদের আমেজ উধাও, প্রতি বছর এই এলাকাটিতে ইদ উপলক্ষ্যে একাধিক খাবার ও উপহার সামগ্রীর দোকানে জমজমাট হয়ে ওঠে। সোমবার সকালে স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে বাড়িতেই ইদের নামাজ পড়েন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুনঃ ২৮ মে কলকাতা-অণ্ডালে উড়ান শুরু
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “করোনা ভাইরাস এবং সাইক্লোন আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরার জন্য ঈশ্বরের কাছে আমাদের সম্মিলিত প্রার্থনা”। প্রতি বছর ইদ-উল-ফিতরের দিন রেড রোডে নামাজ হয়, করোনা সংক্রমণ বাঁচার জন্য এবার তা করা যায়নি। সেই দুঃখ স্পষ্ট পঁচিশের তথ্য প্রযুক্তি কর্মী মজিদ আলির গলায়।মাত্র পাঁচ বছর বয়স থেকেই তিনি রেড রোডের নামাজে অংশ নেন বলে জানিয়েছেন মজিদ আলি।
আরও পড়ুনঃ একদিনে ৬০জন আক্রান্ত সুস্থ কলকাতা মেডিকেল কলেজে
তাঁর কথায়, “আজ আমরা বাড়িতেই নমাজ পাঠ করেছি। উৎসবের সঙ্গে যে হুল্লোড় থাকে তা আমি মিস মিস করেছি এবার। এ বছর, আমার মা ও বোনের সঙ্গে নামাজে অংশ নিয়েছি আমি”।কামারহাটির ফুলবাগান এলাকার রিক্সাচালক ইরফান বলেন, তিনি ও তাঁর পরিবার এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান এবং ধন্যবাদজ্ঞাপন প্রার্থনা সারেন। সুতরাং এবছরের ইদ যে আলাদা তা বলাই বাহুল্য। আজ ধনী, গরীব, মধ্যবিত্ত, মন্ত্রী সহ সকলেই বাড়িতে থেকে একইভাবে ইদ পালন করেছেন। এক্ষেত্রে কোনো ভেদাভেদ ছিল না। করোনার কারণে আজকে যেভাবে সকলে ইদ পালন করলেন তা হয়ত আজীবন মনে রাখবেন মুসলিম ধর্মালম্বীরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584