শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
একুশে নির্বাচনের আগে সরকারি প্রকল্পের সমস্ত সুযোগ সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে তৃণমূল সরকারের ‘মাস্টার স্ট্রোক’ দুয়ারে দুয়ারে সরকার। কিন্তু এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার প্রত্যুত্তরে এদিন ফিরহাদ জানান, দুয়ারে সরকার কর্মসূচিকে ভয় পেয়েছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের এখন কিছুই করার নেই, যতক্ষণ না নির্বাচন ঘোষণা হচ্ছে। তাই বিজেপি ভয় পাচ্ছে মমতার নতুন কর্মসূচিকে।’
অন্যদিকে বহিরাগত তত্ত্ব নিয়ে বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করছে বলেও দাবি করেন তিনি। এদিন দুপুরে রাজ্যের অবাঙালি আবেগ উস্কে দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নে বাঙ্গালীদের থেকে অবাঙালিদের অবদান বেশি রয়েছে। ফিরহাদ বলেন, ‘বহিরাগত মানে নির্বাচনের সময় যারা বাইরে থেকে আসেন তাদের কথাই বোঝায়। সকল পাখি শীতের সময় আসে আবার চলে যায় তেমনই নির্বাচনের সময় যারা আসেন আবার চলে যান তাদের কথাই আমরা বলছি।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলে শুভেন্দু সমস্যা মিটতে চলছে
তিনি আরো স্পষ্ট করে বলেন, ‘এখানে এমন অনেক ফ্যামিলি আছে যারা এখানে বাইরে থেকে এসে ইন্ডাস্ট্রি করেছেন-আছেন, তারা কেউ কেউ আমার থেকেও অনেক পুরনো লোক এখানে আছে। অনেক লোক আছে যারা হিন্দিতে কথা বলে কিন্তু এখানে থাকে।
তাদেরকে আমরা বহিরাগত বলছিনা। ইলেকশনের সময় বাইরে থেকে এসে কথা বলে চলে যায়। তাদের বহিরাগত বলছি। বাংলার মানুষকে নিয়ে দিলীপ ঘোষ আসলে বিভাজনের রাজনীতি করছেন। কখনো হিন্দু-মুসলিম আবার কখনো বাঙালি-অবাঙালি করে বিভাজনের রাজনীতি করছেন তিনি।’
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে, তৃণমূলকে সমুদ্রের সাথে তুলনা করলেন ফিরহাদ
মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারের নতুন কর্মসূচি দুয়ারে দুয়ারে সরকার। এদিন কলকাতার ১০৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ ক্যাম্প গুলি থেকে ১১ টি প্রকল্পের চটজলদি সমাধান মিলবে বলে দাবি রাজ্য সরকারের। আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডে চার দফায় রাজ্য সরকারের ১১ টি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা শহরবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে এই শিবির চলবে।
আরও পড়ুনঃ কৃষক আন্দোলনে সংহতি জানাতে গিয়ে আটক ‘শাহিনবাগের দাদি’
অন্যদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সঙ্গে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের তুলনা টেনে নাইসেডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সোমবার সকালে রাজ্যপালের দাবি ছিল, “রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথীর আদলে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সেই প্রকল্পটি কিন্তু এ রাজ্যে লাঘু করেনি সরকার।’ এর জবাব দিয়ে ফিরহাদ জানিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের থেকে রাজ্যের কাছে স্বাস্থ্যসাথী অনেক বেশি গুরত্বপূর্ণ। রাজ্যপাল নিজের চাকরি বাঁচানোর জন্য তিনি যা খুশি করতে পারেন। ওনার কথা কম বলাই ভালো।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584