শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করে এক অদ্ভুত আত্মশ্লাঘা অনুভব করেন সরকারি কর্মচারীরা, এমন অভিযোগ বহুদিনের। অথচ এমনও হয় যে বয়স কালে তাদেরই ফের অধঃস্তন কোন সরকারি কর্মচারীদের হাতে হেনস্থা হতে হয়। তবু যেন এই প্রক্রিয়া চলছে দিনের পর দিন। যার প্যাঁচে পড়ে ৭ বছর ধরে ঘুরেও বিচার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ‘টক টু কেএমসি’ অনুষ্ঠানে ক্ষোভ উগরে দিলেন এক বৃদ্ধ। ঘটনায় ক্ষুব্ধ পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম ওই পুর আধিকারিককে প্রথমে শো-কজ এবং পরে সাসপেন্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।
কলকাতা পুরসভার মেয়র হয়েই নাগরিকদের অভাব অভিযোগ শুনতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ‘টক টু মেয়র’ নামে ওই অনুষ্ঠান যথেষ্টই সাড়া ফেলে দিয়েছিল। কলকাতা পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে অনুষ্ঠানের নাম বদলে যায়।
আরও পড়ুনঃ কুঁড়েমির জন্য স্কলারশিপ দেবে জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়
লকডাউনের কারণে সপ্তাহ তিনেক বন্ধ থাকার পরে শনিবার ফের শুরু হয়েছে ‘টক টু কেএমসি’ লাইভ ফোনের অনুষ্ঠান। এদিন ফোনে কলকাতার মুখ্য প্রশাসকের কাছে কলকাতা পুরসভার মিউটেশন দফতরের এক বাবুর বিরুদ্ধে নালিশ ঠোকেন পিকনিক গার্ডেনের শ্রীধর রায় রোডের বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব দুলাল রায়।
ফোনে তিনি জানান, তাঁর বসতভিটেতে বহুতল আবাসন তৈরি হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ৭ বছর ধরে মিউটেশন করাতে পারছেন না। স্থানীয় বরো অফিসের আধিকারিকরা দিনের পর দিন ঘুরিয়ে চলেছেন। এক বৃদ্ধ নাগরিকের অভিযোগ শুনেই ক্ষুব্ধ হন ফিরহাদ।
আরও পড়ুনঃ হাসপাতালে ঢুকে স্ত্রীর সহকর্মীকে কুপিয়ে গ্রেফতার স্বামী
ফোন রেখেই অবিলম্বে দুলালবাবুর বাড়িতে আধিকারিকদের পাঠিয়ে মিউটেশনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।একই সঙ্গে ওই অভিযুক্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584