দ্বিতীয় দফার করোনা ভ্যাকসিন নিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম

0
68

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

২৮ দিন পর করোনার দ্বিতীয় দফার টিকা নিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন দুপুর বেলা তিনি বেলেঘাটা নাইসেডে এসে পৌঁছে যান এবং করোনার ভ্যাকসিন নেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, করোনার ভ্যাকসিন অবশ্যই সফল হবে। এ নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই।

Firhad Hakim | newsfront.co

পাশাপাশি তিনি নাইসেডের ডিরেক্টর ও সমস্ত ডাক্তারদের আরও একবার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রথম ট্রায়াল নেওয়ার পর হাসপাতালে পক্ষ থেকে বার বার করে তাকে ফোন করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল, তার কোনো রকম অসুবিধা হচ্ছে কি না। ফিরহাদ হাকিমের কোনও রকম অসুবিধা হয়নি। এদিন তিনি দ্বিতীয় বারের জন্য ট্রায়াল নিলেন।

Firhad Hakim | newsfront.co

তিনি জানিয়েছেন, ২০২১ এর মধ্যেই কো ভ্যাকসিন চালু হয়ে যাবে এবং শুধুমাত্র একটি কোম্পানির ওপর ভরসা করে থাকলে হবে না। কিন্তু তিনি মূলত প্রাধান্য দিয়েছেন ভারত বায়োটেক এর ওপর। তিনি জানিয়েছেন যেহেতু তিনি বাঙালি এবং ভারতীয় তাই ভারতের তৈরি আবিষ্কারের ওপর সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস রয়েছে। তাই তিনি ভারত বায়োটেক জিনিসের ওপর ভরসা রেখে জানিয়েছেন এই জিনিস ব্যবহার করতে পারলে তার গুরুত্ব অনেকটাই বাড়বে।

আরও পড়ুনঃ লন্ডন ফেরত যুবকের সংস্পর্শে ৫৯০ জন, রাজ্যকে চিঠি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের

পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন ভ্যাকসিন শুরু হলে পুরসভা থেকে সবার আগে প্রথমে যারা প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করছেন তাদেরকে দেওয়া হবে ।যেমন স্বাস্থ্যকর্মী ডাক্তার নার্স এদেরকে সবার আগে এই কো ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

পাশাপাশি নাইসেডের ডিরেক্টর শান্তা দত্ত জানিয়েছেন, ফিরহাদ হাকিম এখানে আসেন এবং তাকে দ্বিতীয়বারের জন্য এই ট্রায়াল’ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ৫০০ জনেরও বেশি মানুষকে এই ট্রায়াল’ রান করানো হয়েছে। তাদের এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা যে খুব ভালোভাবে চলছে তা আরও একবার এদিন তিনি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ বাংলায় করোনার নয়া ব্রিটেন স্ট্রেনে আক্রান্ত ১

বুধবার নাইসেড থেকে ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করা হয়। এদিন দ্বিতীয় দফায় ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে বলেই জানানো হয় তাঁকে। সেই মতো ঠিক দুপুর একটার মধ্যে নাইসেডে পৌঁছন পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী।

ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, “হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবু খুব বেশি হলে হয়তো মৃত্যু হবে। একজনের মৃত্যু হবে। কিন্তু উপকার পাবেন অনেকেই। আমি ভারতীয়। তাই ভারতের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন আমার কাছে অত্যন্ত জরুরি।”

উল্লেখ্য, দেশের ২৪টি সেন্টারে ২৮৫০০ জনের উপর প্রয়োগ করা হবে কোভ্যাক্সিন। তার মধ্যে বাংলায় এক হাজার জনের ওপর কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল হওয়ার কথা রয়েছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here