পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
যত নির্বাচন এগিয়ে আসছে ততই একে অপরের উপর আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে। শনিবার সাঁইথিয়ার এক জনসভা থেকে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আক্রমণ করলেন বিজেপি কে।
তিনি বলেন বিজেপির ওই একটা নেতা আছে নাকি নাম জানো, হ্যাঁ মনে পড়েছে মুকুল, ঝরে গেছে এমনিতেই, তারপরে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বেরিয়েছে তৃণমূলের সাইড লাইনে পড়ে থাকা খেলোয়াড়দের নিয়ে রাজনীতি করার জন্য। তিনি বলেন বাইরে থেকে এসে বাংলা দখল করা হাতের মোয়া নয়,কারণ বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে আছে,ফিরহাদ হাকিম দাবি করেন,তিনি সহ তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক বলিষ্ঠ নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ৩৯ কেউ ৪০ বছর ধরে রাজনীতি করছেন অথচ আমরা এখনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে দাঁড়িয়ে থর থর করে কাঁপি, বিজেপিও কাঁপছে তাই মিথ্যা কথা বলে,কুৎসা করে, মানুষকে ভুল বুঝিয়ে,ভোটে জিততে চাইছে।কিন্তু সে আশায় বাংলার মানুষ ইতিমধ্যে জল ঢেলে দিয়েছে। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডলকে কটাক্ষ করেন এ দিনের সভা থেকে,ফিরহাদ হাকিম বলেন,বাংলায় বিজেপি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা,গুজরাট আর ইউপিতে বিজেপি দুধ খাচ্ছে আর বাংলাতে বিজেপি দুধ খাওয়ার জন্য তিড়িং বিড়িং করে লাফাচ্ছে।
লাফিয়ে যাবে আখেরে লাভ কিছুই হবে না।২৩ তারিখ ফল ঘোষণার পর শূন্য হাতে ফিরতে হবে বিজেপিকে। পুরমন্ত্রী বিজেপির দিকে অভিযোগের তীরটির তুলে বলেন,কেন বিজেপিকে সন্ত্রাসবাদী দল হিসেবে ঘোষণা করা হবে না,কেন বিজেপি নেতাদের সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করে জেলে পোরা হবে না,কিভাবে সন্ত্রাসবাদীরা অন্য দেশ থেকে ভারতবর্ষে ৫০০ কেজি বিস্ফোরক নিয়ে ঢুকলো কেন কেন্দ্রীয় সরকার খবর রাখতে পারল না,কেন আমাদের দেশের ৪২ জন সৈনিকের প্রাণ দিতে হলো বেঘোরে।এ প্রশ্নের জবাব কে দেবে। বিজেপির এক প্রার্থী যিনি মালেগাঁও বিস্ফোরণের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত তিনি বলছেন তার অভিশাপে মুম্বাই হামলায় এমন করে একজন বীর পুলিশ অফিসার মারা গেছেন।কি হাস্যকর, একজন সন্ত্রাসবাদীকে বিজেপি প্রার্থী করছে আর অন্য রাজনৈতিক দলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে।
ভারতবর্ষের মধ্যে বাংলায় মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে, সেই শান্তি ভঙ্গ করার জন্য সন্ত্রাসবাদী দল বিজেপি নানা রকম ফন্দিফিকির করে যাচ্ছে,কিন্তু আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে বিজেপির চক্রান্তকে রুখে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত আরো শক্ত করতে হবে। বিজেপিতে একটি চম্বলের ডাকাত আছে, জিনি স্লোগান তুলেছিলেন ভাগ মমতা ভাগ,ভাগ মুকুল ভাগ,সেই মুকুলকে ভাগিয়ে নিয়ে গেছে ভাবছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভাগিয়ে দেবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার বুক থেকে ভাগানো অসম্ভব।
বুনিয়াদপুরের সভা থেকে নরেন্দ্র মোদি শনিবার অভিযোগ করেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনতে ভুল করেছিলেন,ভেবেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন লড়াকু মহিলা,প্রধানমন্ত্রী হবার পর তিনি বুঝতে পেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসৎ, তিনি মানুষের জন্য কোন কাজই করেননি,এর জবাবে ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট করে বলেন,২০১১ সালে আগে নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবাংলায় কখনো আসেনি,তিনি জানেন না নন্দীগ্রাম,সিঙুর, সূজপুর, কিভাবে সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর সাধারণ মানুষকে খুন করে গেছে রক্তগঙ্গা বইয়ে গেছে সেই জায়গা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে শান্তি থাকবে এই ভয়েই নরেন্দ্র মোদী নানা রকম মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ প্রচারে বেরিয়ে অনুপম বঁড়শি গাঁথল মাছ
নরেন্দ্র মোদী আরও অভিযোগ করেন বাংলায় যেসব বিজেপি কর্মীরা মার খাচ্ছে খুন হচ্ছে আগামী ২৩ তারিখ ভোটের ফল ঘোষণার পর তাদের কাউকে ছাড়া হবে না,এ বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম জবাব দেন, তিনি বলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হামলা তৃণমূল কংগ্রেস করেনি বিজেপির নেতা সেটা স্বীকার করে বলে দিয়েছে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফসল লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হামলা। পুরুলিয়াতে যে বিজেপি কর্মীর আত্মহত্যা করেছে, বিজেপি করতে গিয়ে তার আশা পূরণ হয়নি বলেই সে ঘেন্নায় আত্মহত্যা করেছে এখানেও তৃণমূল কংগ্রেসে কোনোভাবেই জড়িত নয়। আর ২৩ তারিখের পর উনি আমাকে দেখবেন বলছেন ভালো কথা,২৩ তারিখ ভোটের ফল ঘোষণার পর নরেন্দ্র মোদী থাকবেন তো। তার নিশ্চয়তা কে দেবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584