নিজস্ব প্রতিবেদক,নিউজ ফ্রন্ট,ভাগলপুর:
বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে বিহারের ভাগলপুর শহরের এক নিবিড় যোগসূত্র বহুকাল ধরে।বিখ্যাত কথা সাহিত্যিক শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যাযের কৈশর যৌবন কেটেছে এই শহরেই।ছোটগল্প কার প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়,বনফুল,বিভূতি ভূষণ মুখোপাধ্যায় সহ বহু খ্যাতিমান সাহিত্যিকদের রচনার প্রেক্ষাপটে আছে ভাগলপুর।সতীনাথ ভাদুড়ি ভাগলপুর সেন্ট্রাল জেলে বসেই ৪২-এর অগাস্ট আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচনা করেন ‘জাগরী’উপন্যাস।এই ঐতিহ্য স্মরণে রেখেই টি.এম.ভাগলপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ে ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে প্রথম স্নাতকোত্তর বাংলা বিভাগ চালু করা হয়।বি.কে.মুখার্জি প্রথম বিভাগীয় প্রধান নির্বাচিত হন।বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের মুকুটে এবার এক নতুন পালক সংযোজিত হল।এই প্রথম বাংলা বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটিজ ফ্যাকাল্টি’র ডিন(অধ্যক্ষ) নির্বাচিত হন ড.ইরা ঘোষাল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভি.সি. ড.নলিনী কান্ত ঝা ড.ঘোষাল কে এই বছর জুন মাসের ২৮ তারিখ এই পদে মনোনীত করেন।সেই সঙ্গে তাঁকে জুলাই মাস থেকে এডুকেশন ফ্যাকাল্টি’র ও অতিরিক্ত ভার দেওয়া হয়েছে।এ পর্যন্ত তিনি উভয় দায়িত্বভার দক্ষতার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন।এই প্রসঙ্গে ড.ইরা ঘোষাল জানান-এটি একটি দায়িত্বপূর্ণ পদ,নিষ্ঠার সহিত পালন করার চেষ্টা করছি।ফ্যাকাল্টি’র উৎকর্ষতা বিধানে আমি সর্বদা আত্মনিয়োগ করে যাচ্ছি।বাংলা বিভাগের বর্তমান বিভাগীয় প্রধান ড.স্নেহলতা দাস বলেন-ড.ইরা ঘোষাল বাংলা বিভাগের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন।
আমরা তাঁর জন্য সকলেই গর্বিত ও আনন্দিত।আগামী দিনে তিনি আরও সুনামও খ্যাতি অর্জন করবেন এই কামনা করি।ইতি পূর্বে তিনি ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে টানা সাত বছর সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন।ড.ঘোষাল ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট তাঁর অমায়িক ব্যবহার ও পঠনপাঠনের উপস্থাপনার জন্য খুবই জনপ্রিয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের গবেষক হজরত উমার ফারুক জানান-তিনি সর্বদা ছাত্র-ছাত্রীদের হিতে কাজ করেন।শ্রেণি কক্ষে সহজ সরল ও সুন্দর ভাবে বিষয় উপস্থাপন করেন যাতে সহজেই শিক্ষার্থীদের বোধগম্য হয়।তিনার প্রত্যক্ষ ছাত্র হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনেকরি।তিনি যেমন আদর্শ শিক্ষক তেমন একজন দক্ষ প্রশাসক।বাংলা বিভাগের ৩৮ বছরের ইতিহাসে এ এক অনন্য নজির।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584