নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
দক্ষিণ কোরিয়া সেনাবাহিনীর তৃতীয় লিঙ্গের প্রথম সৈনিক বুন হি সু-র মৃতদেহ উদ্ধার। বুন হি সু-র মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অপারেশন করে লিঙ্গ পরিবর্তন করার অপরাধে তাঁকে সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সংবাদ সংস্থা ইয়নহ্যাপ সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
বুধবার, এক মানসিক স্বাস্থ্য সহযোগী সে দেশের আপৎকালীন পরিষেবা দপ্তরে জানান যে, গত রবিবার থেকে বুন হি- সুর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। এরপরেই জরুরি পরিষেবা কর্মীরা দক্ষিণ সিওলের চেংজুতে তাঁর বাড়ি যান এবং ২৩ বছরের বুন হি-সুকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
২০১৭ সালে বুন সেনাবাহিনীতে যোগ দেন সার্জেন্ট পদে। এরপর ২০১৯ সালে তাইল্যান্ডে অপারেশন করে তিনি লিঙ্গ পরিবর্তন করেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তাঁকে জানায় অপারেশনের পরে যেহেতু তাঁর পুরুষ যৌনাঙ্গ বাদ দেওয়া হয়েছে তাই তাঁকে মানসিক বা শারীরিক প্রতিবন্ধী হিসেবে গণ্য করা হবে এবং সেনাবাহিনীর একটি প্যানেল তাঁকে ২০২০ সালে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সেনার চাকরিতে যোগদান অনুমোদন করেনা।
আরও পড়ুনঃ গণতন্ত্রকামীদের উপর মায়ানমারে নির্বিচারে গুলি সেনার, নিহত ৩৮
স্থানীয় মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে এই ঘটনায় অবসাদের শিকার হন বুন এবং গত তিন মাস আগেও একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় দক্ষিণ কোরিয়া এখনও প্রচন্ড রক্ষণশীল যৌন দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে। এমনকি সম লিঙ্গের অধিকার নিয়েও দক্ষিণ কোরিয়া অত্যন্ত রক্ষণশীল মনোভাব পোষণ করে।
আরও পড়ুনঃ অ্যামাজনের লোগো বদল ঘিরে বিতর্ক
গে, লেসবিয়ান বা প্রান্তিক যৌনতার ব্যক্তিদের বেশ কিছুটা নজরদারিতেই রাখা হয় সে দেশে। এমনকি সে দেশে সেনাকর্মীদের কোন অধিকার নেই সমলিঙ্গের যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার, ধরা পড়লে দু বছরের হাজতবাস নিশ্চিত। অন্যদিকে সিভিলিয়ানদের অধিকার রয়েছে সম লিঙ্গের যৌন আচরণের। এবিষয়ে বহুবার মুখ খুলেছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584