মোহনা বিশ্বাস, ওয়েবডেস্কঃ
করোনাভাইরাসের দাপটে যখন নাজেহাল সমগ্র বিশ্ব। ঠিক তখনই ঘটল আর এক বিপত্তি। এ বছরের প্রথম বন্যায় আক্রান্ত হল অসম। পরিযায়ী শ্রমিকরা অসমে ফিরে আসার পরই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে অনেকটা বেড়ে গেছে। রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মারা গিয়েছেন চারজন।
পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আমপানের ধাক্কায় শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হল রাজ্যের পাঁচ জেলা। লখিমপুর, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, ডারাং ও গোয়ালপাড়ায় বন্যা বিধ্বস্ত মানুষের সংখ্যা ৩০,০০০-এর বেশি। মোট ১২৭ টি গ্রামে বন্যার জল ঢুকেছে। ৫৭৯ হেক্টর কৃষিজমি চলে গিয়েছে জলের তলায়।
আরও পড়ুনঃ উবার ইন্ডিয়ায় শুরু হল ছাঁটাই পর্ব, কাজ হারালেন ৬০০ কর্মী
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোয়ালপাড়া। এই জেলার ৮৯ টি গ্রামের প্রায় ২৩ হাজার মানুষ বন্যার কবলে। সেখানে ৩৩ টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। ওই ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৮ হাজার মানুষ। করোনা আর প্রাকৃতিক বিপর্যয়, দু’য়ের মোকাবিলা করতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়েছে রাজ্য সরকার।
সোমবার অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্যে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অসমের যে বাসিন্দারা দেশের নানা প্রান্তে আটকে আছেন, তাঁরা ১০ জুনের মধ্যে ফিরে এলে ভাল হয়। তাহলে আমরা কোয়ারান্টাইনের জন্য ১৪দিন পাব ও ৩০ জুনের মধ্যে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা শেষ করা সম্ভব হবে। জুলাইয়ে বন্যা হবে। যদি বিমান সংস্থাগুলি আরও লোক আনতে চাইলে আনুক।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584