নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ
বনকর্মীদের ছোঁড়া গুলিতে এক বনবস্তিবাসীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের জলদাপাড়া বনবিভাগের মন্থরাম বিট অফিস চত্বরে।
বন বস্তিবাসীদের অভিযোগ, রবিবার বিকেলে হারিয়ে যাওয়া গরুর খোঁজে জঙ্গলে ঢুকেছিলেন উত্তরমেন্দাবাড়ির বাসিন্দা বিমল রাভা (৪০)। খানিকটা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার দরুন রাতের অন্ধকারে জঙ্গলে পথ হারিয়ে ফেলেন তিনি।
সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ ওই ব্যক্তি বাড়ি ফেরার সময়,তাঁর ঘরের সামনেই তাঁকে গুলি করেন বনকর্মীরা।আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা বিমল রাভাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর চাউর হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ক্ষুব্ধ জনতা মন্থরাম বীট অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ভেঙে দেয় বনদপ্তরের একটি মনিটরিং ভ্যান। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বিট অফিসে।
যদিও গন্ডগোলের আঁচ পেয়ে মন্থরাম বিটের বনকর্মীরা তাঁদের পরিবার নিয়ে আগেই পালিয়ে যাওয়ার দরুন বিপত্তি বাড়েনি।এরপর ওই ক্ষুব্ধ জনতা কোদালবস্তি রেঞ্জ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
আরও পড়ুনঃ বেহাল সেতু নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ বাসিন্দাদের
তাদের দাবি মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তিকে গুলি করে মারার অপরাধে অভিযুক্ত বনকর্মীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং মৃতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরনসহ একজনের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে।
যতক্ষণ পর্যন্ত জলদাপাড়া বনবিভাগের ডিএফও ঘটনাস্থলে এসে লিখিত আশ্বাস না দেবেন ততক্ষণ আন্দোলনে অনড় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বনবস্তির বাসিন্দারা।
নতুন করে অশান্তি এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও বনদপ্তরের দাবি অবৈধ ভাবে বনের মধ্যে কাঠ কাটার অভিযোগে গুলি করতে বাধ্য হন বনকর্মীরা।
এই নিয়েই এখনও জারি রয়েছে পরস্পর চাপানউতোর। ঘটনাস্থলে পৌছায় জলদাপাড়া বনবিভাগের এডিএফ ও সঞ্জীব কুমার সাহা। তিনি জানান, যে বনদপ্তরের ন্যাশন্যাল পার্কের নিয়ম অনুযায়ী বনদপ্তরের কর্মীরা কাজ করেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584