নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে আশাতীত ভরাডুবির পর থেকে দফায় দফায় নির্বাচনী পর্যালোচনা চলছে সিপিআইএমের অন্দরে। উঠে এসেছে একের পর এক ভুলের হিসাব। যেমন ‘বিজেমুল’ স্লোগান যে তাদের ভরাডুবির একটি বড় কারণ তা ইতিমধ্যেই মেনে নিয়েছে দল। এবার তারা লিখিতভাবে স্বীকার করে নিল যে শিল্পায়নের কথা বলে ভোট চাওয়া এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে আইএসএফের সাথে জোট করা ছিল বঙ্গ সিপিআইএমের বড় ভুল।
শিল্পায়নের কথা বলায় ভুল কিসে ছিল? ‘ কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ’ এতো সিপিআইএমের চিরকালের স্লোগান- তাহলে ভুল কিসে হল? দল বলছে, এই শিল্পায়নের কথা নতুন করে বলা “ সে সময়ের জমি আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে মানুষকে”, স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে দলীয় চিঠিতে।
এরপরে, আইএসএফের সঙ্গে জোট নিয়ে দল সরাসরি স্বীকার করে নিয়েছে যে আইএসএফ তাদের ধর্ম পরিচয়ের বাইরে গিয়ে ধর্ম নিরপেক্ষ হতে পারেনি কখনও। কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে বলা হয়েছিল যৌথ প্রচার ও লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বামফ্রন্ট ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে পারে; কিন্তু তা মানেনি রাজ্য নেতৃত্ব। তারই খেসারত দিতে হল দলকে – বিধানসভা আজ বামশূন্য।
আরও পড়ুনঃ কাঁথির ত্রিপল চুরির মামলায় শুনানি শেষ, রায় ঘোষণা স্থগিত রাখলেন বিচারপতি
সিপিআইএমের এবারের নির্বাচনী প্রচারে উঠে এসেছিল নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গও। শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পরে নন্দীগ্রামের গুলিকাণ্ডের দায় পরোক্ষে অধিকারী পরিবারের উপর চাপিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট প্রচারে সেকথা নন্দীগ্রামে গিয়ে একাধিকবার বলেনও তিনি। তারপরেও এই নিয়ে তুমুল প্রচার চালিয়েছিল সিপিআইএম। এমনকি সিঙ্গুরেও জমি অধিগ্রহণ করে শিল্পায়নের পদক্ষেপ ঠিক ছিল, এটাও বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে যে এমন উল্টো ফল হবে তা তাঁরা স্বপ্নেও ভাবেননি।
আরও পড়ুনঃ ডব্লিউবিসিএস-এর প্রশ্নে ‘সবুজ সাথী’, বিশিষ্টদের তোপ শুভেন্দুর
দেশ জুড়ে যখন কৃষি আন্দোলন চলছে তখন জমি অধিগ্রহণ করে শিল্পায়নের কথা বলার ফল যে হিতে বিপরীত হতে পারে এটা দলের তাবড় তাবড় নেতা যে কেন বুঝলেন না আড়ালে আবডালে সে প্রশ্ন তুলছেন অনেক দলীয় কর্মীও। তাঁরা অনেকেই বলছেন জন বিচ্ছিন্ন বলেই আর মানুষের প্রাণের ভাষা পড়তে পারছেনা দল!
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584