নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
দেশে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প নেই—প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই উক্তির নিরীখে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। তিনি জানান, বাজপেয়ী জমানায় ভারতে আসা অনুপ্রবেশকারীদের জন্য প্রথম ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হওয়া শুরু হয়।
এরপর মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৩০০০ জনের থাকার মতো পরিসর নিয়ে, ৪৬ কোটি টাকা ব্যয় করে শুরু হয়েছিল ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি। এগুলোকে অস্বীকার করে কীভাবে প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন যে দেশে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্পই নেই—প্রশ্ন তুলেছেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গুয়াহাটি হাইকোর্টের বিচারে যাদেরকে বিদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল, তাদের জন্যই তাঁর প্রশাসন ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করা শুরু করেছিল। এখন মুখ রক্ষার তাগিদেই বিষয়টি অস্বীকার করছেন নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুনঃ মুসলিমদের জেলে ঢোকানোর হুমকি, মীরাটের সরু গলিতে সাম্প্রদায়িক হাওয়া
তিনি জানান, “২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হন, তখন রাজ্যের সঙ্গে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং ডিটেনশন ক্যাম্পের বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়নি। এমনকী, তাঁর সরকার বাংলাদেশের সঙ্গেও কোনও আলোচনা করেনি। এখন, মোদী চাইছেন, আমরা এখনও উদার দেশে বাস করছি, সেই রকম ভাবমূর্তি তৈরি করতে। আমাদের আটক করা হবে না”।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ধর্মকে মাপকাঠি করে কোনও আইন বাস্তবায়িত হতে পারে না। ডিটেনশন ক্যাম্পগুলিতে আশ্রয় নেওয়া মানুষের মধ্যে হিন্দুদের সংখ্যাই কিন্তু বেশি। তাহলে তারা হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও তাদের এরকম অবস্থা কেন? শূণ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন গগৈ।
আরও পড়ুনঃ প্রতিবাদীদের উচিত শিক্ষা দিয়েছেন আদিত্যনাথ, হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইট ‘মহান মুখ্যমন্ত্রী’র
তাঁর মতে ডিটেনশন ক্যাম্পের নিয়ম শিথিল হওয়া প্রয়োজন। তাঁর কথায় সুপ্রিম কোর্টের যে নিয়মে তিন বছর পরে আটক থাকা ব্যক্তিদের মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেটিকে কোনওভাবেই অস্বীকার করা যায় না।
২০০১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত পরপর তিনবার অসমে কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তরুণ গগৈ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584