ফের গৃহবন্দী দবি ওমরের, অভিযোগ অস্বীকার শ্রীনগর পুলিশের

0
53

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

ন্যাশনাল কনফারেন্সের সহ-সভাপতি ওমর আব্দুল্লার দাবি তাঁকে ও তাঁর সাংসদ পিতা সহ গোটা পরিবারকে ফের গৃহবন্দি করা হয়েছে। এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শ্রীনগর পুলিশ।

omar abdullah | newsfront.co
ওমর আব্দুল্লা- ফাইল চিত্র

পুলিশের দাবি, পুলওয়ামা হামলার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে ভিআইপিদের চলাফেরার বিষয়টি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

রবিবার টুইটে ওমর লিখেছেন, “২০১৯ সালের আগস্টের পর এটাই নয়া জম্মু-কাশ্মীর। আমাদের গৃহবন্দি করা হয়েছে। আমার বৃদ্ধ পিতা সাংসদ ফারুক আবদুল্লা ও আমাকে বাড়িতে নজরবন্দি রাখা হয়েছে। এছাড়া, আমার বোন ও তাঁর সন্তানদেরও গৃহবন্দি করা হয়েছে।” শ্রীনগর শহরের গুপকর এলাকায় তাঁর বাড়ির সামনে পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকার ছবি সহ এই টুইট করেছেন ওমর আবদুল্লা।

আরেকটি টুইটে তিনি লিখেছেন, “গণতন্ত্রের নতুন মডেলটির অর্থ হল, কোনও ব্যাখ্যা ছাড়াই আমাদের গৃহবন্দি করে রাখা। যাঁরা ঘরে কাজ করছেন তাঁদেরও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। আমি অবাক একই সঙ্গে অসন্তুষ্ট।”

আরও পড়ুনঃ গ্রেটাকে সমর্থন, বেঙ্গালুরুর থেকে গ্রেফতার পরিবেশ কর্মীর পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত

ওমরের টুইটের জবাবে শ্রীনগর পুলিশ পাল্টা টুইটে লিখেছে, “আজ লেথপোরার সন্ত্রাসের ঘটনার দ্বিতীয় বার্ষিকী। সড়কে কোনও আরওপি থাকবে না। প্রতিকূল তথ্যের কারণে ভিআইপিদের চলাফেরা নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এদিন কোনও কর্মসূচি রাখতেও নিষেধ করা হয়েছে।”

পিডিপি সভানেত্রী মেহেবুবা মুফতি শনিবার অভিযোগ করেন তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়েছে বলে। গত ডিসেম্বরে পারিমপোরায় এনকাউন্টারে হত তিন জঙ্গির অন্যতম আতহার মুশতাকের বাড়ি যাওয়া আটকানো হয়েছে বলে দাবি মুফতির।

আরও পড়ুনঃ পছন্দমতো চাকরির এলাকা নির্বাচনের অধিকার নেই সরকারি কর্মচারীদের, জানাল আদালত

টুইটে তিনি লেখেন, “ভুয়ো এনকাউন্টারে নিহত আতহার মুশতাকের পরিবারকে দেখা করার আগে যথারীতি গৃহবন্দি করা হয়েছে। ছেলের লাশের দাবি করার জন্য বাবার বিরুদ্ধে ইউএপিএ-এর ধারায় মামলা করা হয়। উপত্যকার এই স্বাভাবিক পরিস্থিতির ছবি ইউরোপিয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরেছে ভারত সরকার।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here