নিজস্ব সংবাদদাতা, কোলকাতাঃ-
মাদ্রাসায় নিয়োগ ক্ষমতা কার -পরিচালন কমিটির না সরকারের, সেই নিয়ে সুপ্রীমকোর্টে চূড়ান্ত পর্যায়ের শুনানি চলছে। সেখানে অভিযোগ উঠেছে আগের বাম সরকার অবৈধভাবে রাজ্যের সরকারি মাদ্রাসাগুলোকে ১২/১০/২০০৭ তারিখে এক নোটিফিকেশন জারি করে সংখ্যালঘু তকমা চাপিয়ে দেওয়ায় বর্তমানে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন সহ রাজ্যের প্রায় দশ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। সঙ্গে বঞ্চিতদের চাকুরী , ট্রান্সফার সহ কমিশনের অনেক কাজ বাকি।
সেই নোটিফিকেশন সংশোধন সহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আজ রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে জমায়েত করে বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরাম।
সভা শেষে আজ ঐ সংগঠনের সভাপতি ইসরারুল হক মন্ডল সহ দুই প্রতিনিধি মুখ্যমন্ত্রীর মমতা ব্যানার্জীর নিকট দেখা করে মাদ্রাসার বর্তমান সমস্যা গুলো তুলে ধরেন। আলোচনায় উঠে আসে বর্তমান নিয়োগ নিয়ে সুপ্রীমকোর্টের কেস থেকে শুরু করে ২০০৭ সালের নোটিফিকেশনের সংশোধনের প্রসঙ্গও। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে বাঁচিয়ে ঐতিহ্যশালী মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচানোর অনুরোধ করেন ফোরাম সভাপতি ।
সাম্প্রতিক এমএসসি নিয়োগে সরকারি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ফোরামের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয় একট তাঁর হাতে একটি মান পত্র তুলে দেওয়ার মাধ্যমে। এছাড়াও কেরলের বন্যা দুর্গতদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর হাতে এক লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন ফোরাম সভাপতি । মুখ্যমন্ত্রী সাদরে মানপত্র ও চেক গ্রহণ করে সমস্ত দাবি গুলিকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবেন বলে জানা গেছে।
আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসার পর ইসরারুল মন্ডল জানান,”এতদিন একটা কমিউনিকেশন গ্যাপ ছিল, আজ দিদিকে মাদ্রাসা সমস্যার কথা খুলে বললাম। উনি আমাদের কাজে খুশি!”
উল্লেখ্য, ফোরামের সঙ্গে সরকারের গোপন আঁতাতের অভিযোগ আগে থেকেই ছিল।প্রশ্ন উঠছে আজ কি তাহলে সেটা আনুষ্ঠানিকতা পেল?
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584