শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
করোনা আবহে আদৌ দুর্গাপুজো হবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা বেড়েছিল রাজ্যবাসীর মনে। কারণ চট করে করোনা সংক্রমণ শেষ হওয়ার কথা নয়। তাই করোনা সংক্রমণেও যাতে দুর্গাপুজোর আনন্দ না হারিয়ে যায়, তার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করেছে ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব।’
স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাঁকজমক না করেও সুষ্ঠুভাবে যাতে দুর্গাপুজো করা যায় তার জন্য একটি গাইডলাইন বানিয়েছে ফোরাম। আর সেই ১৭ দফার গাইডলাইন কলকাতার সব পুজো কমিটিগুলিকেও বলা হয়েছে। তাদের এই প্রস্তাব প্রশাসন মেনে নিলে করোনা সংক্রমণেও সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো করা সম্ভব হবে।
তাদের প্রস্তাবিত গাইড আইন অনুযায়ী, মণ্ডপ ও প্রতিমার উচ্চতা খুব বেশি করা হবে না।
মণ্ডপের বাইরে থেকেই প্রতিমা দর্শনের সুযোগ দেওয়া হবে। মণ্ডপের ভিতরে চাকচিক্য কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সমস্ত দর্শনার্থীদের মুখে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা আবশ্যক।
আরও পড়ুনঃ ১০ অগস্ট থেকে কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু অনলাইনে, ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
মণ্ডপের মূল প্রবেশপথে থার্মাল গান রাখা বাধ্যতামূলক, গায়ে জ্বর নিয়ে মণ্ডপে ঢোকা যাবে না।
একবারে ২৫ জনের বেশি দর্শনার্থীকে মণ্ডপের ভিতরে ঢুকতে না দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে রাতের বদলে সারাদিন ধরে দর্শনার্থীদের ঠাকুর দেখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মানুষ এত রাতে ভিড় না করেন, আলোর চাকচিক্য কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পুজোর সময় প্রত্যেকদিন মণ্ডপ ও প্রতিমা স্যানিটাইজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মণ্ডপের বাইরে পুজোর স্টলগুলির মধ্যে ৩ থেকে ৪ ফুট ব্যবধান রাখতে হবে।
খাবারের স্টলগুলিতে আগে থেকে তৈরি করা বা রেডিমেড খাবারের উপর জোর দিতে হবে, বসে খাওয়া চলবে না।
ঠাকুরের প্রসাদে কাটা ফল নয়, গোটা ফল রাখতে হবে। পুষ্পাঞ্জলি, সন্ধিপুজো, আরতির সময় শারীরিক দূরত্ববিধি মানতে হবে।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিকের কৃতিদের সংবর্ধনা মালদহে
মণ্ডপশিল্পী ও কর্মীদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে কমিটিকেই দায়িত্ব নিতে হবে। এলাকা স্যানিটাইজ করার ক্ষেত্রে পুজো কমিটিগুলিও দায়িত্ব নিতে হবে।
ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু বলেন, ‘পুরোটাই প্রস্তাবনার আকারে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য প্রশাসনকে দেওয়া হবে। আর পুজো কমিটিগুলিকেও এই গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণের কারণে মানুষ এবারে নিজে থেকেই অনেক বেশি সতর্ক থাকবেন। তারপরও যদি অনর্থক ভিড় হয় তাহলে তা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আটকানো হবে। তবে সবটাই প্রশাসনের অনুমতির ওপর নির্ভর করছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584