মণীশ হত্যাকাণ্ডে ধৃত ৪, জেরায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ বাইক উদ্ধার সিআইডির

0
68

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

কাউন্সিলর তথা দাপুটে বিজেপি নেতা মণীশ খুনে এখনও পর্যন্ত সিআইডি গ্রেফতার করেছে ৪ জনকে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও তিনটি বাইক উদ্ধার করলেন তদন্তকারীরা। গোয়েন্দাদের অনুমান এই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েই শার্প শুটাররা মণীশ শুক্লাকে খুন করেছিল। অস্ত্রগুলি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

manish | newsfront.co
ফাইল চিত্র

রবিবার সন্ধ্যায় টিটাগড়ে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনের পর মঙ্গলবার সকালেই এ খুনে জড়িত সন্দেহে মহম্মদ খুররম ও গুলাব শেখ নামে ২ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ওই দিন রাতেই গ্রেফতার করা হয় দুষ্কৃতীদের ইনফর্মার এবং তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত নাসির খানকে। এরপর বুধবার রাতে সুবোধ যাদব নামে তৃণমূল কর্মীকে ব্যারাকপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা গিয়েছে, তিন মাস আগেই মণীশকে পৃথিবী থেকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়ে গিয়েছিল। সেই মত পরিকল্পনা করে আগ্নেয়াস্ত্রও জোগাড় করা হয়।ধৃত খুররম ও সুবোধকে জেরা করেই একটি অস্ত্র ও কয়েকটি বাইকের কথা জানা যায়। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই একটি কার্বাইন জাতীয় অস্ত্র উদ্ধার করে সিআইডি।

আরও পড়ুনঃ বিজেপির নবান্ন ঘেরাও অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কলকাতায়

কার্বাইন হল একটি স্বয়ংক্রিয় আকারে লম্বা আগ্নেয়াস্ত্র। সাধারণ রাইফেল বা মাস্কেটের থেকে যার ব্যারেল ছোট। বেশির ভাগ কার্বাইনই হল স্বয়ংক্রিয় বড় রাইফেলের ছোট সংস্করণ। তবে বড় রাইফেলে যে কার্তুজ ব্যবহার করা হয়, তা এতেও ব্যবহার করা হয়েছে। মিলেছে ৩ টি বাইক। তার মধ্যে একটি বাইক বৃহস্পতিবার সোদপুর রেল লাইনের ধার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ উল্টোডাঙায় জাল স্ট্যাম্প পেপার চক্রের হদিশ, ধৃত ২

তবে মহম্মদ খুররম নন, মণীশ খুনে এখন মূল অভিযুক্ত ধৃত সুবোধ যাদবই, এমনটাই মনে করছে তদন্তকারীরা। অভিযোগ, মণীশ খুনের ছক পুরোটাই জানত সে এবং দুষ্কৃতীদের আশ্রয়ও দিয়েছিল। ব্যারাকপুর চার নম্বর ওয়ার্ডের একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের দোতলার ফ্ল্যাটে এক মাস ধরে ছিল। সেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেছিল সুবোধ যাদব।

আরও পড়ুনঃ ১০৫ দিন ধরে কোভিড পজিটিভ বৃদ্ধার বিল ৩১ লক্ষ!

এছাড়া রবিবার অর্থাৎ ঘটনার দিন বেশিরভাগ সময়ে সুবোধই গোটা অপারেশন নজরে রাখছিল। ফোনে যোগযোগ রাখছিল শার্প শুটারদের সঙ্গে। তাকে জেরা করে শার্প শুটারদের সঙ্গে যোগাযোগের কথা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। আর কীভাবে মণীশ শুক্লাকে হত্যা করা হবে, তার গোটা ছক পুরোটাই জানা ছিল সুবোধের।

বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ফরেন্সিক টিমের সদস্যরা। খুনের জায়গা থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন তারা। খড়দহ পুরসভার সামনের সিসিটিভি ফুটেজ পুরসভার কাছ থেকে সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা।

অন্যদিকে, সিআইডির ৫ জন তদন্তকারী অফিসারদের একটি দল ধৃত খুররমকে নিয়ে সারারাত তল্লাশি চালায় ক্যানিংয়ের বিভিন্ন এলাকায়। সূত্রের খবর, ক্যানিং ও বাসন্তী থেকে দুই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here