নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ
প্রায় ৫২ লক্ষ টাকার সোনা লুটের ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারী অভিযোগে গ্রেফতার অ্যাস্টিটেন্ট সব-ইন্সেপক্টের ও সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ চার।
সোমবার রাতে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার ও সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করে মালদা থানার পুলিশ।মঙ্গলবার ধৃত চারজনকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করে।তবে ঘটনার পেছনে আরো অনেকে জড়িত আছে অনুমান পুলিশের। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে ধৃত পুলিশ এএসআই এর নাম রাজীব পাল। বর্তমানে ইংরেজবাজার থানায় কর্মরত। ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম ইলিয়াস সবজি। ইংরেজবাজার থানায় কর্মরত। বাড়ি ইংরেজবাজারের নিয়ামতপুর।ইংরেজবাজারের আরও এক বাসিন্দা সামিউল ইসলাম।
এছাড়াও ব্যরাকপুরের স্বাগত মন্ডল এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকাকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা
জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক সোনার দোকানের কর্মী। ২০১৯ সালের ৩০ মে মালদা থানার ঝাঁঝড়া মোড় থেকে ৫২ লক্ষ টাকার সোনা চুরির অভিযোগ দায়ের করতে যায় মালদা থানায় এক যুবক।
কিন্তু ওই যুবকের কাছে কোন তথ্য প্রমাণ ছিলনা। পরে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে অভিযুক্ত সোনার দোকানের কর্মী মালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশকে জানায় গাড়িতে করে সোনা নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় দুষ্কৃতিরা লুট করে। কিন্তু ওই কর্মীর কাছে সোনার কোন প্রমাণ ছিলনা।
কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা জানায় প্রমান নিয়ে আসতে। কিন্তু ওই যুবক আর অভিযোগ করতে আসেনি। পরে পুলিশের চাপে পড়ে ঘটনার প্রায় ছয় মাস পড় অভিযোগ দায়ের করে।
তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযোগকারী দোকানের কর্মী সহ পুলিশ অফিসার ও আরো দুই জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানতে পারে সেইদিন কোন লুটের ঘটনা ঘটেনি। প্রায় ৫২ লক্ষ টাকার সোনা হাত বদল হয়েছিল। মঙ্গলবার ধৃতদের মালদা আদালতে তুললে ছয় দিনের পুলিশি হেপাজতের আবেদন জানায় আদালত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584