নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
বিহার ভোটের প্রচারে বিজেপির ভরসা চার লক্ষ ‘স্মার্টফোন ওয়ারিয়ার্স’। মোদীর ভাষণ ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে এদের হাত ধরেই।
করোনা সংক্রমণের ভয়, কড়া স্বাস্থ্যবিধি, এমন পরিস্থিতিতে ভোট। নির্বাচক থেকে প্রার্থী কেউই পূর্বে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হননি। তাই আসন্ন বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে বদল প্রচলিত প্রচারে। রাজনৈতিক দলগুলিও নিউ নরম্যালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের থেকে জোর দিচ্ছে ভার্চুয়াল সমাবেশে।
এই পদ্ধতিতে বিহারের সর্বত্র যতবেশি সংখ্যক ভোটারদের কাছে পৌঁছানো যায় সেই চেষ্টায় শাসক জোটের অন্যতম শরিক বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ কৃষি আইনের প্রতিবাদে বিজেপি শাসিত রাজ্যেই দশেরাতে দাহ হবে মোদীর কুশপুতুল
এবারেও প্রচারে মুখ্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু ভার্চুয়াল প্রচারই শেষ কথা নয়, তা যাতে ঘরে ঘরে পৌঁছয় তার জন্য থাকছে চার লক্ষ স্মার্টফোনধারী কর্মী ও এদের নিয়ন্ত্রণ করবেন দশ হাজার সোশ্যাল মিডিয়া কমান্ডর।
বিজেপি সূত্রে খবর, বিহার নির্বাচন উপলক্ষে ১৫ অক্টোবরের পর অন্তত আটটি সমাবেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই সংখ্যাটা এক ডজনও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যেহেতু বড় সমাবেশ করা যাবে না, তাই ভার্চুয়াল সমাবেশই ভরসা।
আরও পড়ুনঃ প্রায় চোদ্দ মাস পর মুক্ত মেহবুবা মুফতি
চার লক্ষ স্মার্ট ফোনধারী বিজেপি কর্মী মোদীর ভাষণ রাজ্যের প্রতিটি কোনায় সব ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেবেন। এদের পোশাকি নাম ‘ওয়ারিয়ারস’। চার লক্ষ ওযারিয়ারসকে নিয়ন্ত্রণ করবেন চার হাজার ‘কম্যান্ডার’। নিউ নর্মালে প্রচার পর্ব সুশৃঙ্খল রাখতেই বিজেপির এই উদ্যোগ।
বিহারের উন্নয়ন, রাজ্যের অগ্রগতিতে কেন্দ্রের ভূমিকা, কর্মসংস্থান থেকে ইন্দো-চিন সীমান্ত বিরোধ, সাম্প্রতিক কালের নানা ইস্যুতে উদ্বিগ্ন দেশবাসী। মোদী প্রচারে এলে সেইসব প্রশ্নের উত্তর প্রধানমন্ত্রী নিজেই দিতে পারতেন এবং মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে ভবিষ্যৎ আন্দাজ করা সহজ হতো। নিউ নরম্যালে সে উপায় নেই, তাই অনলাইনে মোদীর বক্তব্য তুলে ধরা-ই একমাত্র রাস্তা। অতএব,ভোটারদের মন বুঝতে বিজেপির ভরসা ‘স্মার্টফোন ওয়ারিয়ার্স’ ও কম্যান্ডররাই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584