শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
একসঙ্গে ৪ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট! তার জেরে বিপুল সংখ্যক মানুষকে যেতে হল কোয়ারেন্টাইনে। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে একজন মিজোরামের প্রবীণ বাসিন্দা, একজন কেন্দ্রীয় দলের গাড়িচালক বিএসএফ জওয়ান এবং বাকি ২ জন জোড়াবাগান থানার এক সার্জেন্ট এবং এক কনস্টেবল। ফলে একই সঙ্গে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মিজোরাম হাউস, বিএসএফের মূল অফিস এবং জোড়াবাগান থানায়।
জানা গিয়েছে, কলকাতায় ক্যানসারের চিকিৎসা করানোর জন্য এসেছিলেন মিজোরামের প্রবীণ ৭৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। রবিবার রাতে সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বছর পঁচাত্তরের ওই ব্যক্তির শরীরে করোনার উপসর্গ ছিল। তাঁর নমুনা পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছিল। আর মৃত্যুর পরেই আসে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট। এই ব্যক্তির মৃত্যুর পর মিজোরাম হাউসের ২৫ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কলকাতায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা গাড়িচালক এক বিএসএফ জওয়ানের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। তাঁর গাড়িতে কলকাতা-সহ বেশ কিছু কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল গিয়েছিলেন। যদিও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কেউ তাঁর সংস্পর্শে আসেননি। তিনি কোথা থেকে সংক্রামিত হলেন, তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি বিএসএফের ৫০ জন জওয়ান কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও ফের আরও দুই পুলিশকর্মীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে বলে সূত্রের খবর। সম্প্রতি জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডের এক কনস্টেবলের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। মনে করা হচ্ছে, জোড়াবাগান থানার ওই সার্জেন্ট ও এক কনস্টেবল তার সংস্পর্শে এসেছিলেন। করোনার নানা উপসর্গে ভুগতে থাকায় রবিবার তাঁদের ভর্তি করানো হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে। সূত্রের খবর, সেখানেই পরীক্ষার রিপোর্টে পজ়িটিভ এসেছে তাঁদের। তাদের সংস্পর্শে আসা সমস্ত পুলিশকর্মীদের তালিকা তৈরি করে কোয়ারেন্টাইন করা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি স্বাস্থ্য ভবন।
একইসঙ্গে, কেষ্টপুর এলাকায় বেসরকারি হাসপাতালের এক নার্সের শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওই নার্সের ২৫ জন সহকর্মীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। কেষ্টপুরের নোনাপুকুর এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন বেসরকারি হাসপাতালের কয়েকজন নার্স। তাঁরা প্রত্যেকেই বিধাননগরের দক্ষিণ থানা এলাকায় অবস্থিত ওই বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।
রবিবার রাতে তাঁদের একজনের শরীরে করোনা আক্রান্ত হওয়ার লক্ষ্মণ দেখতে পাওয়া যায়। তার রুমমেটরা দ্রুত বিষয়টি জানায় সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। রাতেই ওই নার্সকে তার ওই বাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যদেরও কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকেরই করোনা টেস্ট করানো হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। কেষ্টপুরের নোনাপুকুরের ওই এলাকাও স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584